কথিত আছে যে বাড়ির বাস্তু ঠিক না থাকলে বাড়িতে সবসময় ঝগড়া বা অন্য ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে, তাই বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ। কিছু লোক বাস্তু অনুসারে কাজ করে না।
বাড়ির জিনিসপত্র যদি বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে না রাখা হয়, তাহলে বাড়ির এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। বাস্তু দোষের (Vastu Dosh) কারণে বাড়ির সদস্যদের শারীরিক, আর্থিক, মানসিক ও পারিবারিক জীবনে সমস্যায় পড়তে হয়। কিছু জিনিস ভুল করেও ঘরে রাখা উচিত নয়। এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
ভাঙা বা ভাঙা জিনিস ঘরে রাখা উচিত নয়। কিছু জিনিসের টেক্সচার নির্দেশিত কিন্তু এই জিনিসগুলিকে বাস্তু অনুসারে সঠিক মনে করা হয় না। এসব কারণে পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কেও ফাটল দেখা দিতে পারে।
উত্তর ও পূর্ব দিকে আবর্জনা রাখবেন না বা বাড়ির উত্তর ও পূর্ব দিকে ভারী মেশিন রাখবেন না। এতে করে ঘরের সুখে বাধা আসে।
বাড়ির সামনে কাঁটাযুক্ত গাছ বা মিল্কউইড গাছ থাকলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়।
পেইন্টিং কেনার সময় বাস্তুরও খেয়াল রাখা উচিত। ঘোড়া, শুষ্ক অনুর্বর জমি, অনুর্বর পাহাড়, ধ্বংসাবশেষ বা এই জাতীয় চিত্রগুলি ঘরে নেতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দেয়। প্লাস্টিকের ফুল ঘরে রাখলে মন খারাপ থাকে।
তাই শুধু আসল ফুল দিয়ে ঘর সাজান। বাড়ির প্রধান গেটে ডাস্টবিন রাখলে নেতিবাচক শক্তি ছড়ায়। ভুলবশত কখনই বাড়িতে পশুর চামড়া, মুখোশ বা ছবি আনবেন না।
বাড়ি থেকে বাস্তু দোষ দূর করতে নয় দিন অখণ্ড রামায়ণ পাঠ করুন এবং উত্তর-পূর্ব কোণে একটি কলশ রাখুন। ফুলদানি মাটির তৈরি হলে ভালো হয়। আপনি যেখানে বসবেন বাড়ির পিছনের দিকে একটি পাহাড়ের ছবি রাখুন। এটা করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।