একজন ব্যক্তির খাওয়ার জন্য যেমন নুন জরুরি তেমনি জীবনে লবণের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। লবণ শুধু খাবারকে সুস্বাদু করে না, এর নেতিবাচক শক্তি দূর করারও আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, লবণ রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব দূর করার পাশাপাশি একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি দূর করে।
আপনি নিশ্চয়ই রান্নাঘরে প্রায়ই নুনের ব্যবহার করেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে লবণ ঘরের নেতিবাচক শক্তি (Negative Energy) দূর করতেও কার্যকর। বাস্তু মতে, নুন শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর থেকে নেতিবাচক শক্তিও দূর করা যায়। বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুসারে, লবণের ব্যবহার শুধুমাত্র আপনার ঘরকে ইতিবাচক শক্তি দিয়ে পূর্ণ করে না বরং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করে।
বাস্তু অনুসারে, আপনি যে পাত্রে নুন ব্যবহার করছেন সেটি কোন ধাতুর তৈরি তা মাথায় রাখতে হবে। বাস্তু মতে, স্টিল ও লোহার পাত্রে কখনই লবণ রাখা উচিত নয়। কাচের পাত্রে লবণ রাখতে হবে। এতে করে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে। এছাড়াও, বাড়িতে কখনও অর্থের অভাব হয় না।
ঘরে অর্থের প্রবাহ বজায় রাখতে একটি কাচের গ্লাস নিয়ে তাতে জল ও লবণ মিশিয়ে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখুন। এছাড়াও, এটির পিছনে একটি লাল রঙের বাল্ব রাখুন। যখনই জল শুকিয়ে যাবে, সেই গ্লাসটি আবার পরিষ্কার করুন এবং লবণ যোগ করার পরে জল দিয়ে পূরণ করুন। এতে করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বজায় থাকে।
বাড়ির কেউ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে তার বিছানার কাছে নুন ভর্তি কাঁচের বোতল রাখুন এবং প্রতি সপ্তাহ তা পরিবর্তন করুন।
এক চিমটি সন্ধক লবণ অসুস্থ ব্যক্তির উপর ৭ বার নিক্ষেপ করে জলে ভাসিয়ে দিন। এতে ওই ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি দূর হবে এবং সমস্যাগুলো দূর হবে।
রাতে ঘুমানোর সময় জলে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে হাত-পা ধুয়ে নিলে মানসিক চাপ দূর হয়। ভাল ঘুমের পাশাপাশি রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাবও দূর হয়।
বাস্তু দোষের কারণে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসে। যা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। লবণ দিয়ে ঘরের বাস্তু দোষ দূর হয়।
মাটিতে লবণ না ফেলার চেষ্টা করুন। লবণ নষ্ট করা উচিত নয়। বাস্তু অনুসারে, মাটিতে লবণ পড়ে যাওয়া শুভ লক্ষণ দেয় না। ঘরে লবণ ফেলে দিলে চন্দ্র ও শুক্র উভয়ই দুর্বল হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে একবার ঘর মোছার সময় জল কিছুটা সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নিন। এতে নেতিবাচকতা দূর হয়।