বাস্তুশাস্ত্রে ঝাঁটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাখ্যানে এটিকে লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিষয় খেয়াল না রাখলে চরম দারিদ্র, অর্থকষ্টের মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
বাড়ি পরিষ্কারের সময় এবং ঝাঁটা রাখার ক্ষেত্রে স্থানের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। বাড়িতে বাস্তুর অশুভ প্রভাব এড়াতে জেনে নিন ঝাঁটা রাখার সঠিক স্থান এবং এর উপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে খুঁটিনাটি নানা জরুরি বিষয়...
যখনই বাড়িতে বা অফিসে ঝাঁটার কোনও কাজ থাকে না, তখন সেটি চোখের সামনে থেকে সরিয়ে ফেলুন। ঝাঁটা দেখা সব সময় ভাল বলে মনে করা হয় না। খোলা জায়গায় রাখা ঝাঁটা ঘর বা অফিসের বাস্তুর অশুভ প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেকেই ঝাঁটা ভাঙে যাওয়ার পরেও ব্যবহার করি। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে ভাঙা ঝাঁটা ব্যবহারে অনেক বাস্তু দোষ সৃষ্টি হতে পারে, বাড়তে পারে অর্থকষ্টের মতো সমস্যা। ঝাঁটা কখনই দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। দাঁড়িয়ে থাকা ঝাঁটাকে বাস্তুশাস্ত্রে দুর্ভাগ্যের কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এটিকে সর্বদা মাটিতে শুইয়ে রাখুন।
সন্ধ্যায় বাড়িতে ঝাঁটার ব্যবহার বাস্তুর দৃষ্টিকোণ থেকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে দেবী লক্ষ্মী বিরক্ত হন। তাই সূর্যাস্তের পর বাড়ি বা অফিসে ঝাঁটার ব্যবহার না করাই মঙ্গল।
পুরানো ঝাঁটা বদলে নতুন ঝাঁটা কাজে লাগাতে চাইলে তার জন্য সপ্তাহের শনিবার দিনটিকে বেছে নিন। শনিবার নতুন ঝাঁটা ব্যবহার করা শুভ বলে মনে করা হয়।
সম্ভব হলে পশ্চিম দিকের কোনও ঘরে ঝাঁটা রাখুন। বাস্তুশাস্ত্রে এই দিকে ঝাঁটা রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। পশ্চিম দিকে ঝাঁটা রাখলে ঘরে কোনও ধরনের নেতিবাচক শক্তি ছড়ায় না। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।