হিন্দু ধর্মে লাল বা কালো সুতোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একে মৌলি সুতোও বলা হয়। পুজোর পর কব্জিতে বাঁধা হয় এই সুতো। একইভাবে গাছ-গাছালিতে সুতো বাঁধার রীতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অশ্বত্থ থেকে তুলসী। গাছের গায়ে সুতো বাঁধলে মেলে বিবিধ ফলও। শাস্ত্র মতে দেব-দেবীর পুজো করলে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। মানুষের ভাগ্যও খুলে দেয়। সেই সঙ্গে ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য লাভ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন গাছে সুতো বাঁধলে কী লাভ হয়-
তুলসী- হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের বিশেষ স্থান রয়েছে। তুলসী গাছ বেশির ভাগ বাড়িতেই থাকে। লোকবিশ্বাস, তুলসী গাছে বাস করেন লক্ষ্মী-নারায়ণ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্নানের পর তুলসীতে জল নিবেদন করলে শুভ ফল মেলে। তুলসী গাছে লাল সুতো বেঁধে রাখলে ঘরে কোনও বিপর্যয় আসে না। কেটে যায় সব ধরনের সঙ্কটও। ঘরে শান্তি ও সুখ থাকে।
অশ্বত্থ- অশ্বত্থ গাছকে পবিত্র মনে করা হয়। কথিত আছে যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব অশ্বত্থ গাছে বাস করেন। এর সঙ্গে দেব-দেবীর অধিবাস। অশ্বত্থ গাছে লাল সুতো বাঁধা খুবই শুভ। ঘরে আসে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ।
বট- জ্যোতিষশাস্ত্রে বটবৃক্ষকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বট সাবিত্রী উপবাসে মহিলারা বটবৃক্ষের পুজো করেন। বটগাছে লাল সুতো বেঁধে রাখলে আয়ু বাড়ে। মহিলাদের দীর্ঘদিন সধবা থাকেন। অকাল মৃত্যুর আশঙ্কাও কেটে যায়।
লজ্জাবতী- শিবের আশীর্বাদ পেতে এবং শনিদেবের দোষ দূর করতে লজ্জাবতী গাছের পুজো করা হয়। ঘরে লজ্জাবতী গাছ রাখলে শুভ ফল মেলে। এই গাছে লাল সুতো বাঁধলে শনিদেব প্রসন্ন হন। এর সঙ্গে রাহু ও কেতু গ্রহ শান্ত হয়। জীবন থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়। মন থাকে খুশিতে।
আরও পড়ুন- রাতে বালিশের নীচে ৫ জিনিস রেখে ঘুমোন, বাধা কাটবে, আসবে অর্থ
কলা- বৃহস্পতিবার কলা গাছের পুজো হয়। এই গাছ বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। লোকবিশ্বাস, বিষ্ণু কলা গাছে বাস করেন। কলা গাছের পুজোর পাশাপাশি তাতে লাল সুতো বেঁধে রাখলে বৃহস্পতি শান্তি আসে। বিষ্ণুর কৃপা প্রাপ্ত হয়। বৃহস্পতির সংকটও কেটে যায়। সৌভাগ্য আসে ঘরে।