ভগবান শ্রী কৃষ্ণের নাম সর্বদা রাধার সঙ্গে যুক্ত। যে কোনও উৎসব-পর্বে যার ঝলক দেখা যায়। যদিও জন্মাষ্টমী বা অন্য যে কোনও উৎসবে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা যেভাবে করা হয়, রাধার পুজো সেভাবে হয় ন। যদিও রাধা অষ্টমী পালন করার রীতিও রয়েছে। জন্মাষ্টমী, যা কৃষ্ণের জন্মোৎসব, তারপরই রাধা অষ্টমী পালন করা হয়। এইদিন রাধার জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এইদিন রাধার পুজো-আরাধনা, ব্রত, ভজন-কীর্তন, উপাসনা করলে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন।
কবে পালন হবে রাধাষ্টমী
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রী রাধা রানিকে সমর্পিত করা হয়। এই বিশেষ দিনে রাধার আবির্ভাব হয়েছিল। তাই এইদিন রাধাষ্টমী পালন করা হয়। এইদিন রাধার রানির পুজো করা হয় এবং তাঁকে তাঁর প্রিয় জিনিসের ভোগ দেওয়া হয়। এরকম করলে ভক্ত রাধার আশীর্বাদ পেয়ে থাকেন। এই বছর রাধা অষ্টমী ৩১ অগাস্ট, রবিবার পালন করা হবে।
শুভ মুহূর্ত
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, রাধা অষ্টমী তিথি ৩০ অগাস্ট রাত ১০টা বেজে ৪৬ মিনিট থেকে ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত ১২টা বেজে ৫৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। রাধা অষ্টমীর পুজোর শুভ মুহূর্ত সকাল ১১টা ৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা বেজে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।
রাধা অষ্টমীর পুজোর নিয়ম
রাধা অষ্টমীর দিনে রাধার সেবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে, সকালে স্নান করার পর, একটি তামার পাত্রে রাধার মূর্তি স্থাপন করুন। তারপর রাধার শৃঙ্গার করুন। তাঁকে ওড়না পরান, মালা পরিয়ে দিন, তিলক লাগান। ফুল ও ধূপ নিবেদন করুন। পূজার সময়, "হ্রিম রাধিকায়ে নমঃ, হ্রিম শ্রীম রাধায় স্বাহা" মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন। এটি জীবনের অনেক সমস্যা দূর করে এবং বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি বাড়ায়। এছাড়াও যে সব বিবাহিত মহিলারা ব্রত রাখবেন, তাঁদের ব্রাহ্মণ ভোজন করানো খুবই জরুরি। এরই সঙ্গে দান-ধর্ম এদিন করা খুবই ভাল। এতে দাম্পত্য জীবনে মধুরতা বাড়ে।
রাধা অষ্টমীর মাহাত্ম্য
রাধা অষ্টমীর দিন ব্রত রাখা খুবই ভাল বলে মনে করা হয়। যারা সন্তানের জন্য চেষ্টা করছেন, তারা এইদিন রাধাজির সামনে নিজের মনোস্কামনা রাখতে পারেন। রাধাকে মা লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। তাই রাঝির পুজো করলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।