মুসলিমদের একটি পবিত্র উৎসব বকরি ইদ। যেটি ইদ-উল-আজহা নামেও পরিচিত। এটি কেবলমাত্র কুরবানির প্রতীক নয় বরং আল্লার প্রতি সমর্পণ, ত্যাগ এবং মানবতার ভাবনাকেও তুলে ধরে। এটি ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ পরবের মধ্যে অন্যতম। ভারতে এ বছর কবে পালিত হবে বকরি ইদ?
বকরি ইদ ২০২৫ কবে?
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বকরি ইদ জুল হিজ্জা মাসের ১০ তারিখ হয়। মঙ্গলবার, ২৭ মে সৌদি আরবে মুরগিদের নমাজ পাঠের পর জুল হিজ্জার চাঁদ দেখা গিয়েছে। এরপর সেখানে ৬ জুন পালিত হবে বকরি ইদ। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সৌদি সরকারের তরফে।
সৌদি আরবে বকরি ইদের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার পর গত ২৮ মে ভারতেও চাঁদ দেখা গিয়েছে। এরপর ২৯ মে ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জুল হিজ্জার প্রথম তারিখ পড়েছে। ২৯ মে থেকেই ভারতে জুল হিজ্জা মাসের শুরু হয়েছে এবং মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ শনিবার, ৭ জুন বকরি ইদ উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
কেন এটিকে বকরি ইদ বলা হয়?
জুল হিজ্জাহ মাসের এই দশম দিনটিতে একাধিক রীতি মেনে বকরি ইদ পালন করেন মুসলিমরা। মক্কা শহরে হজ শেষে পালিত হয় এই ইদ-উল-আজহা। প্রতিটি পরবের মতো বকরি ইদও চাঁদ দেখার সময়ের উপর নির্ভর করে। ইদ-উল-আজাহায় পশু কোরবানির প্রথা রয়েছে। কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ত্যাগের মাধ্য়মেই আল্লাহর কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। সেই নৈকট্য অর্জনকেই বলা হয় কোরবানি। ইদ শব্দের অর্থ আনন্দ। আর আধা বলতে বোঝায় পশুদের কোরবানি দেওয়া। মূলত এই পরবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা কোরবান করেন পাঁঠা, ছাগল বা ভেড়া জাতীয় পশু। হিন্দিতে এই প্রাণীগুলিকেই বলা হয় বকরি। আর তাই এই ইদের অপর নাম বকরি ইদ।
কেন পালিত হয় বকরি ইদ?
বকরি ইদের প্রচলন করেছিলেন হজরত ইব্রাহিম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহ ইব্রাহিমকে তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি দিতে বলেছিলেন। আল্লাহর নির্দেশ রাখতে নিজের চোখ বেঁধে ইব্রাহিম প্রাণের চেয়েও প্রিয় পুত্রের কোরবানি দেন। কিন্তু, চোখ খুলে দেখেন পুত্র তাঁর সামনেই দাঁড়িয়ে। সেই থেকেই শুরু হয় ইদ-উল-আধা উদযাপন।