হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশের গুরুত্ব অনেক। সব দেব-দেবীর পুজো শুরু হয় গণেশের মন্ত্রোচ্চারণ করেই। যে কোনও শুভ কাজের আগে গণেশের পুজো করা হয়। শিব ও পার্বতী পুত্র গণেশকে, হিন্দুদের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, বুধবার ভগবান গণেশের দিন।
সপ্তাহের সাত দিনই কোনও না কোনও দেবতা বা গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে বুধবার ভগবান গণেশ এবং বুধ গ্রহের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এবার গণেশ চতুর্থী বুধবারও পড়ছে। তাই এবছরের গণেশ চতুর্থীকে বেশি ফলপ্রসূ বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার গণপতির পুজো করলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায় এবং সকল প্রকার বাধা দূর হয়। এছাড়াও, যদি আপনার রাশিতে বুধ দোষ থাকে, তবে এই দিনে অনেক প্রতিকারের মাধ্যমে তা দূর করা যেতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় তাৎপর্য
যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে বুধ গ্রহ দুর্বল থাকে বা কোনও ত্রুটি থাকে, তবে বুধবার ভগবান গণেশের পুজো করে তা দূর করা যেতে পারে। যেহেতু গণেশকে 'জ্ঞানের দাতা' এবং 'বিঘ্ন নাশক' বলা হয়, তাই যারা বুধবার তাঁর পুজো করেন, তারা কখনও সমস্যার সম্মুখীন হন না। তারা জ্ঞান এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পান। বুধ গ্রহ ব্যবসা এবং বাকশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। গণেশের আশীর্বাদে ব্যবসায়িক অগ্রগতি হয় এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত হয়।
বুধবার গণেশের পুজো পদ্ধতি
বুধবার গণেশের পুজো করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হয়। এই দিনে, মন্দিরে যাওয়ার পর বা বাড়িতে গণপতি স্থাপনের পর, তাকে সিঁদুর অর্পণ করুন। গণপতিকে মোদকও অর্পণ করুন। ২১ টি দূর্বা অর্পণ করুন এবং ১১ বার গণেশ স্তোত্র পাঠ করুন। এতে পরিবারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে।
বুধবার এই প্রতিকারগুলি করুন
* বুধবার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সিঁদুরের তিলক লাগান। এতে চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য আসতে পারে।
* কর্মক্ষেত্রে সমস্যা দূর করতে গণেশ রুদ্রাক্ষ পরুন।
* অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বুধবার ভগবান গণেশকে ঘি এবং গুড় অর্পণ করুন এবং গরুকে খাওয়ান।
* বুধবার ভগবান গণেশকে ২১টি দূর্বা অর্পণ করুন এবং গণেশ চালিশা পাঠ করুন। এতে গণেশের আশীর্বাদ মিলবে।
বুধবার এই জিনিসগুলি দান করুন
* এই দিনে সবুজ মুগ ডাল, সবুজ শাকসবজি, সবুজ চুড়ি বা সবুজ পোশাক দান করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
* শিক্ষা সম্পর্কিত জিনিসপত্র যেমন, শিশুদের বই বা অন্যান্য শিক্ষামূলক সামগ্রী দান করতে পারেন। এটি রাশিফলের বুধের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
* বুধবার গরুকে সবুজ খাবার খাওয়ানোও পুণ্য বলে বিবেচিত হয়। বলা হয়, এই সহজ প্রতিকার করলে ভগবান গণেশের আশীর্বাদ সর্বদা থাকে।