হিন্দুধর্মে সপ্তাহের প্রতিটি দিনের পৃথক গুরুত্ব আছে। কারণ সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবদেবীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই মতো বুধবারকে সিদ্ধিদাতা গণেশের দিন হিসেবে ধরা হয়। তাই এই দিনে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে ভগবান গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। দূর হয়ে যায় জীবনের সমস্ত বাধা বিপত্ত এবং ঘরে আসে সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নতি।
গণপতি ও দেবি লক্ষ্মীর পুজো
যেহেতু বুধবার দিনটি ভগবান গণেশকে উৎসর্গ করা হয়, তাই এই দিন অথর্বশীর্ষ পাঠ করে গণপতিকে মোদক বা লাড্ডু নিবেদন করুন। এরপর নিয়ম মেনে পুজো করে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে গোলাপের মালা অর্পণ করুন। একইসঙ্গে তাঁকে ক্ষীরও উৎসর্গ করুন। তাতে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি উপচে পড়বে।
গণেশজির মূর্তি
বুধবার বাড়ির সদর দরজার ভিতরে এবং বাইরে একই জায়গায় ২টি গণেশের মূর্তি রাখুন। এটি এমনভাবে রাখুন যাতে উভয় মূর্তির পিঠ একে অপরের সঙ্গে ঠেকে থাকে। মনে করা হয় যে বাড়ির বাস্তুদোষ দূর করতে ও ঘরে সুখ সমৃদ্ধি আনতে এই উপায়টি বিশেষ কার্যকরী।
সবুজ পোশাক
বুধবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে কপালে সিঁদুরের তিলক লাগান। পাশাপাশি এই দিন সবুজ পোশাকও পরুন (Wednesday Vastu Colour)। যদি সবুজ পোশাক না থাকে তবে পকেটে কমপক্ষে একটি সবুজ রঙের রুমাল রাখুন। তাতেও সমস্ত বাধা দূর হবে এবং সাফল্যের পথ খুলে যাবে।
দানধ্যান
বুধবার সবুজ জিনিস দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনে, দরিদ্র ও অভাবী মহিলাদের মুগ ডাল, সবুজ কাপড় বা সবুজ চুড়ি দান করতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এতে কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত সমস্যাগুলি দূর হয় এবং কর্মজীবনে উন্নতির পথ খুলে যায়।
গরুকে খাওয়ান
যদি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে বুধবার মুগ ডাল সিদ্ধ করুন এবং তারপর তাতে ঘি ও চিনি মিশিয়ে গরুকে খাওয়ান। মনে করা হয় যে পরপর ৫ থেকে ৭টা বুধবার এটি করলে ঋণ থেকে মুক্তি মেলে। তবে মনে রাখবেন, চাকরি ও ব্যবসায় কঠোর পরিশ্রমও কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে।