পণ্ডিত আচার্য চাণক্য জীবনের প্রতিটি বিষয় নিয়ে বহু নীতি রচনা করেছেন। প্রাচীনকালে চাণক্যের রচিত এই নীতিগুলি আজও খুব প্রাসঙ্গিক। এটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে মনোযোগ আকর্ষণ করে। প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে সুখ-দুঃখ আসে। এমনই জীবনের অন্যান্য সমস্যাগুলি তার সমাধান সম্পর্কেও নানান বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চাণক্যের নীতিতে। এই নীতি অনুসারে জীবন থাকলে দুঃখ এবং সুখও থাকবে। আর এই খারাপ সময়ে ব্যক্তির সম্বন্ধে ধারণা করা যায়।
শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানরা এ কথা বিশ্বাস করেন, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের এই দর্শন থেকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের মতে, যে সকল ব্যক্তি আচার্য চাণক্যের নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, যাঁরা চাণক্যের জীবন দর্শন আত্মস্থ করতে পেরেছেন, তাঁদের জীবন থেকে দুঃখ-দুর্দশা সহজেই দূর হয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, সমাজে খ্যাতি, সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য কোন কোন কাজগুলি করা উচিত। চাণক্য নীতি অনুসারে স্বার্থপর লোকেরা কখনই সফল হয় না। অতএব, লোভের দ্বারা মানুষের কখনও তার মৌলিক স্বভাবটি পরিবর্তন করা উচিত নয়। যারা চিন্তা ভাবনা করে আচরণ করেন তারা সমাজে খ্যাতি পান।
চাণক্যের নীতি অনুসারে একজন ব্যক্তির আচরণে বিনয় থাকা বাধ্যতামূলক। যাঁরা নম্র, শত্রুরাও তাদের বন্ধু হয় এবং প্রত্যেকে তাদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়। এই জাতীয় লোকেরা জীবনে অবশ্যই সাফল্যও অর্জন করে।
চানক্য নীতি অনুসারে কেবল জীবকেই সম্মান করা উচিত। অপরের থেকে সম্মান পাওয়া সম্ভব কেবলমাত্র সম্মান দিয়ে। যে ব্যক্তি অন্যকে যথাযথ সম্মান দেয় না সে সমাজে নিজে কখনওই সম্মাণ পাওয়ার যোগ্য হন।