The announcement, made through a company-wide email, took employees by surprise. চলতি বছর ২০ অক্টোবর দীপাবলি। দীপাবলির রাতকে বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়। এই রাতকে ‘মহানিশা’ বা ‘সিদ্ধ রাত্রি’ বলা হয়। এই রাতে যেকোনও পুণ্যকর্ম বা উপায় করলে তার ফল খুবই শুভ হয়। বাড়িতে আলো ও দীপের সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে মা লক্ষ্মীর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। আসুন দেখে নিই দীপাবলির রাতে কি কি সহজ ও ফলপ্রসূ কাজ করা যায়।
সাত বা নয় মুখি দীপক
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দীপাবলির রাতে ঘরে সৌভাগ্য ও ধন বৃদ্ধি করার জন্য সাত বা নয় মুখি দীপক জ্বালানো অত্যন্ত শুভ। এই দীপক ঘরের পূজাস্থলে বা প্রধান প্রবেশদ্বারে রাখা যায়। দীপক তৈরিতে ঘরে স্বচ্ছ দেশী ঘি এবং সুতি বাতি ব্যবহার করলে আরও বেশি শুভ ফল পাওয়া যায়। এই দীপক জ্বালালে ঘরে ধন, স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু বাড়ে বলে ধরা হয়।
সাদা বা হলুদ কৌড়ি
দীপাবলির রাতে সাদা বা হলুদ কৌড়ি রাখা অত্যন্ত মঙ্গলজনক। লক্ষ্মীপুজোর সময় পাঁচটি কৌড়ি, পাঁচটি কমলগুটি ও কিছু হলুদ সরিষা এক লাল কাপড়ে বেঁধে ছোট একটি পটলিতে রাখুন। এই পটলি পুজোর সময় মা লক্ষ্মীর পায়ের কাছে রাখুন এবং ‘ওম শ্রিং হ্রীং শ্রিং কমলে কমলালয়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রিং হ্রীং হ্রীং মহালক্ষ্ম্যাই নমঃ’ মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। পরদিন পটলি তিজোরিতে রাখুন। এতে অর্থ সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান হয়।
ক্ষীর ভোগ
দীপাবলির রাতে মা লক্ষ্মীকে ক্ষীরের ভোগ অর্পণ করলে বাড়িতে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, আয়ের নতুন পথও খুলে যায়।
পুজোর পর শঙ্খনাদ
পুজো শেষ হওয়ার পরে ঘরের সমস্ত কক্ষে শঙ্খ বাজানো শুভ। শঙ্খের শব্দ পবিত্রতা, সৌভাগ্য, শান্তি এবং ধন-ধান্যের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, নেগেটিভ শক্তি দূর হয় এবং বাড়িতে সুখ-শান্তির স্থায়ী পরিবেশ তৈরি হয়।
দীপাবলির এই রাতের সহজ ও ফলপ্রসূ উপায়গুলো মেনে চললে, মা লক্ষ্মীর বিশেষ দয়া বাড়িতে প্রবেশ করে। ফলে ঘরে সমৃদ্ধি, শান্তি ও সৌভাগ্য বজায় থাকে।