দোল মানেই রঙের উৎসব। নানা রং, আবির দিয়ে রাঙানোর দিন। এই দিন আবার বসন্তোৎসবও পালন করা হয়। রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয় দোলপূর্ণিমার দিন। হিন্দু ধর্মে তাই দোলযাত্রার আলাদা মহিমা রয়েছে। এই সময়ই হোলিও পালন করা হয়। রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন আপামর দেশবাসী।
এ বছর দোলযাত্রা ২৫ মার্চ সোমবার। দোলের সময় প্রকৃতিও যেন সেজে ওঠে। চারিদিকে রঙের বাহার। উৎসবের আমেজে গা ভাসান সকলেই।
হোলির আগের দিন বিশেষ একটি রীতি পালন করা হয়। সেটা হল হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলি পালন করা হয়। এ বছর হোলি পড়েছে ২৫ মার্চ। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি পড়েছে ২৪ মার্চ রবিবার। ওই দিন সকাল ৯টা ২৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। সোমবার শেষ হবে পূর্ণিমার তিথি। ২৪ মার্চ রাতে হোলিকা দহন পালন করা হবে।
দেশের নানা প্রান্তে হোলিকা দহন পালন করা হয়। বাংলায় যা ন্যাড়া পোড়ানো নামেই পরিচত। মনে করা হয়, এই রীতি পালন করলে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে। শুভ শক্তির উদয় হয়। পূরাণ মতে, রং দিয়ে হোলি খেলার প্রথা শুরু করেন শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধা। সেই থেকেই হোলি উৎসব পালন করা হয়। তাই হিন্দু ধর্মে হোলি বা দোলযাত্রাকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই সময় অত্যন্ত শুভ। তাই এই শুভক্ষণে ভক্তিভরে রাধাকৃষ্ণের পুজো করলে ফল পাওয়া যায়।
দোল পূর্ণিমায় এই কাজ করলেই জীবন থেকে আর্থিক সমস্যা দূর হবে। জেনে নিন নিয়ম...
* যাঁরা চাকরি করেন এবং ব্যবসায়ী, হোলিকা দহনের দিন সন্ধ্যায় বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ জ্বালান।
* এজন্য দুমুখী প্রদীপ নিতে হবে। মেঝেতে সামান্য আবির রেখে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
* প্রদীপ জ্বালানোর সময় অর্থলাভের জন্য প্রার্থনা করুন। এই নিয়ম পালন করলে আর্থিক লোকসান দূর হবে। সেই সঙ্গে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে। এতে জীবনে সব বাধা কেটে যায়।