scorecardresearch
 

Ma Laxmi Kripa: লক্ষ্মীর কৃপায় ধন-সম্পদের অভাব হয় না, মানতে হবে যে নিয়মগুলি

প্রত্যেকেরই অভিপ্সা, মা লক্ষ্মী যেন তার বাড়িতে স্থায়ী ঘর করে থাকেন। কিন্তু মা লক্ষ্মী বহু কারণে রাগান্বিত হতে পারেন। তিনি কুপিত হলে কিন্তু বিপদ। তাই এ বেলা জেনে রাখুন, লক্ষ্মী পুজোর সময় কি কি করলে মা লক্ষ্মী বাঁধা থাকবেন তাঁর ঘরে।

Advertisement
মা লক্ষ্মীর পুজো করুন এভাবে মা লক্ষ্মীর পুজো করুন এভাবে
হাইলাইটস
  • চিরদিন মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে হলে সাধারণ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হবে
  • ধন-সম্পত্তি উপচে পড়বে এভাবে পুজো করলে
  • ভুল হলে মা লক্ষ্মী কুপিত হতে পারেন

দুর্গাপুজো প্রায় শুরু। দশমীর পরও কার্নিভাল রয়েছে। ফলে এই আবহের মধ্যেই চলে আসবে লক্ষ্মীপুজো। হাতে সময় একদম পাওয়া যাবে না। তারই মধ্যে চলে আসবে লক্ষ্মী পুজো। কথায় আছে  "লক্ষ্মী এল ঘরে"। ঘরে যদি লক্ষ্মী আনতে হয়, তাহলে কিন্তু নিয়ম মেনে পুজো করলেই শুধু কাজ হবে না। মোক্ষ অর্থাৎ পুজোর লাভ প্রাপ্তি করতে হলে সহজ কিন্তু কয়েকটি টোটকা করতেই হবে। তাহলে দেবী তুষ্ট হবেন। আর আপনার ঘরে স্থায়ী রূপে বিরাজমান হবেন। ধন, সম্পদ, আধ্যাত্মিকতা, সৌভাগ্য ও ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী। মা লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। দেবী লক্ষ্মী হলেন গৌরব ও খ্যাতিরও দেবী। তিনি যার প্রতি সদয় হন, তাঁর জীবন সর্বদা ধনধান্যে ভরা থাকে।

আরও পড়ুনঃ পুজোয় দুর্ভোগ-অর্থ সংকট পাঁচ রাশির

মা লক্ষ্মীকে ঘরে বাঁধা রাখতে হলে 

প্রত্যেকেরই ইচ্ছা, মা লক্ষ্মী যেন তাঁর বাড়িতে স্থায়ী বাসিন্দা হন। কিন্তু মা লক্ষ্মী বহু কারণে রাগ করেন। তিনি কুপিত হলে কিন্তু বিপদ। যজমানের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেন। তাই তাঁকে তুষ্ট রাখতে হয় বিভিন্ন উপায়ে। আসুন জেনে নিই, লক্ষ্মী পুজোর সময় কী কী করলে মা লক্ষ্মী চিরদিনের জন্য আপনার ঘরের বাসিন্দা হবেন।

১. পূর্ণিমার রাতে জেগে থাকুন

লক্ষ্মীপুজো করার পর রাতে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারারাত জেগে থাকার বিধি দেওয়া আছে ৷ ‘কোজাগর ’ শব্দের অর্থ ‘কে জেগে আছে’? পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনা করতে রাত জাগার বিধান। তাই একে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয়। এই তিথিতে সন্ধেবেলা লক্ষ্মীদেবীর পুজো করে। রাত জেগে পাশা খেলার বিধি আছে। তবে তা জেগে থাকার সুবিধার জন্য। তাই যেভাবেই হোক, জেগে থাকলেই হবে।

২. চিঁড়া এবং নারকেলের জল খেতেই হবে

পুজোয় দেওয়া নারকেলের জল এবং চিঁড়া খেতে হবে অবশ্যই। অন্য কোনও প্রসাদ যদি নাও বা খান, তাহলেও নারকেলের জলে চিঁড়ে ভিজিয়ে রেখে খান। তাতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকবে।

Advertisement

৩. চাঁদের আলোতে পায়েস রাখতে হবে

মা লক্ষ্মী যশ, খ্যাতি, সমৃদ্ধি ও প্রতিপত্তি প্রদান করেন। সুস্বাস্থ্য ও আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়, গোবিন্দভোগ চালের পায়েস তৈরি করে সন্ধ্যেবেলায় চাঁদের আলোয় রাখুন। সারারাত একটি নেট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে পোকামাকড় না পড়ে কিন্তু চাঁদের আলো পায়েসে পড়ে। পরের দিন ওই পায়েস বাড়ির সবাই মিলে খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে আর আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হবে।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে সেরা বিরিয়ানি কোথায় কোথায়? রইল ঠিকানা

৪. নারায়ণ পুজোও করতে হবে

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে হলে নারায়ণপুজোও করতে হবে। মা লক্ষ্মীকে বাড়তি খুশি করতে চাইলে লক্ষ্মী পুজোর একই সঙ্গে নারায়ণ পুজোও করতে হবে। এতে মায়ের কৃপা সারা বছর পাওয়া যায়।

৫. নদীতে স্নান করুন

এই দিন গঙ্গায় স্নান করা ভাল। গঙ্গার কাছে যাঁরা থাকেন না, নিকটবর্তী নদীতে স্নান করে তাঁকে গঙ্গা বিশ্বাসে ডুব দিতে হবে।এতে দারুণ পুণ্য অর্জন করা যায়।

শিশুকন্যাদের উপহার দিন

স্নানের পর এই দিন ছোট শিশু পাঁচটি কন্যাকে তাঁদের পছন্দ মতো কিছু উপহার দিলে মা লক্ষ্মী দেবী খুবই প্রসন্ন হন।

 

Advertisement