সনাতন ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে অন্যতম গরুড় পুরাণ। এই পুরাণের প্রধান দেবতা বিষ্ণু। মানুষের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে তোলার নানা উপায় রয়েছে এই গরুড় পুরাণে। যে কেউ এই উপায়গুলি অনুসরণ করলে জীবনে সাফল্য পাবেন।
বিষ্ণুর বাহন গরুড় ও নারায়ণের মধ্যকার কথোপকথন এই পুরাণে লেখা হয়েছে। গরুড় পুরাণে এমন অনেক জিনিস লেখা হয়েছে যা আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক। বাঁচাতে পারেন মানুষের জীবন। সুস্থ জীবনধারণের নতুন আঙ্গিক শেখায় গরুড় পুরাণ। লোকবিশ্বাস, গরুড় পুরাণের নীতিমালা মানতে মৃত্যুর পরে স্বর্গে স্থান পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরুড় পুরাণের এমনই ৫টি কথা যা আপনাকে দারিদ্র্যের দিকে নিয়ে যায়। গরুড় পুরাণের যে ৫টি জিনিস আপনাকে দরিদ্র করে তোলে-
১। নোংরা পোশাক পরা- গরুড় পুরাণ অনুসারে, নোংরা পোশাক পরে থাকে তবে মা লক্ষ্মী তাঁর উপর ক্রুদ্ধ হন। মা লক্ষ্মী পরিচ্ছন্নতা খুব পছন্দ করেন। তিনি এমন একটি বাড়িতে থাকেন যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকে। নোংরা জায়গায় তিনি থাকেন না। নোংরা পোশাক পরলে তিনি সদয় হন না। তাই পোশাক সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরা উচিত।
২। অন্যদের দুর্বলতা খোঁজা- গরুড় পুরাণ অনুসারে, যাঁদের স্বভাব অন্যের সমালোচনা করা তাঁদের জীবন থাকে দারিদ্র্যে ভরা। অন্যের কথা নিয়ে আলোচনা করলে জীবনে সুখ আসে না। জীবন ভরে ওঠে দুঃখে। এই প্রকৃতির মধ্যে অকারণে চিৎকার করা,অন্যদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা এবং কটূকখাও রয়েছে।
৩। সূর্যোদয়ের পর ঘুম- গরুড় পুরাণ অনুসারে,যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ঘুমান তাঁরা অলস প্রকৃতির হন। এই ধরনের ব্যক্তির জীবনে অনেক সমস্যা থাকে। তাই আলস্য ত্যাগ করা উচিত। বেশি ঘুমোনো অনুচিত।
৪। অর্থের অহংকার- গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে ব্যক্তি তাঁর অর্থ নিয়ে অহংকার করেন তিনি ভাগ্যের সঙ্গ পান না। তাঁর বুদ্ধি লোপ পায়। মা লক্ষ্মী তাঁর বাড়িতে বেশিদিন থাকেন না। তাই অর্থের অহংকার করা উচিত নয়।
৫। পরিশ্রম এড়িয়ে সাফল্যের খোঁজ- গরুড় পুরাণ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রম না করে চুরি, প্রতারণা পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে তিনি সাফল্য পান না। প্রাথমিক সাফল্য আসতে পারে তবে তা বেশিদিন টেকে না। কারণ মা লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ হন। যাঁরা পরিশ্রম করেন, প্রাণ লাগিয়ে চেষ্টা করেন তাঁরাই একটা সময় সাফল্য পান। আর সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আরও পড়ুন- ২০২৩ সালের শুরুতেই সহায় সূর্যদেব, চাকরি-অর্থলাভে সাফল্য ৩ রাশির