হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমায় বৌদ্ধ জয়ন্তী (পূর্ণিমা) পালিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, এটি এপ্রিল বা মে মাসেই পালিত হয় সাধারণত। বুদ্ধ পূর্ণিমা ভেসক বা বুদ্ধ জয়ন্তী (Buddh Jayanti) নামেও পরিচিত। বিশ্বজুড়ে এই বিশেষ দিন অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পালিত হয়।
ভগবান বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী পালন হয় বুদ্ধ পূর্ণিমায় (Buddha Purnima)। বুদ্ধ একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক ছিলেন যার শিক্ষায় বৌদ্ধ ধর্ম (Buddhism) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বৈদিক সাহিত্য অনুসারে, ভগবান বুদ্ধ (Lod Buddha) হলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার এবং তিনি এই পৃথিবীতে সমস্ত জীবের প্রতি অহিংসা ও করুণার বার্তা শেখাতেই এসেছিলেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২২-র তারিখ (Buddha Purnima 2022 Date)
বিশ্বাস করা হয় যে, এবছর গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) ২৫৮৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এই বিশেষ দিনটি উদযাপন হবে ১৬ মে, সোমবার। তবে গৌতম বুদ্ধের জন্ম ও মৃত্যুর সময় অনিশ্চিত। ইতিহাসবীদদের মতে যুবরাজ সিদ্ধার্থ গৌতম বর্তমান নেপালের লুম্বিনিতে ৫৬৩ সাল নাগাদ জন্মেছিলেন।
গৌতম বুদ্ধের সেরা কয়েকটি বাণী যা সব সময়ে প্রাসঙ্গিক (Gautam Buddha Famous Quotes)
* অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।
* প্রত্যেক অভিজ্ঞতা কিছু না কিছু শেখায়। প্রত্যেক অভিজ্ঞতাই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা আমাদের ভুল থেকেই শিখি।
* শান্তি মনের ভীতর থেকে আসে, তাই সেটা ছাড়া শান্তির অনুসন্ধান করো না।
* জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
* যে ব্যক্তি মানুষকে ভালোবাসে, সে দুঃখের দ্বারা ঘিরে থাকে এবং যে কাউকে ভালোবাসেনা, তার কোনো সংকট নেই।
* অতীত নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ো না, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেও না, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দাও, এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।
* লক্ষ্য বা গন্তব্যে পৌঁছানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই যাত্রাকে ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে থাকে।
* সন্দেহের অভ্যাস সবচেয়ে ক্ষতিকারক, এটা মানুষকে দূষিত করে । সন্দেহ একটা ভাল বন্ধুত্ব ও ভাল সম্পর্কে ধ্বংস করে দেয়।
* সব কিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।
* জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।
বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিনে, ভক্তেরা বুদ্ধমন্দিরগুলিতে যান এবং ভগবান বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করেন। সেই সঙ্গে এদিন দরিদ্রদের দান করার রীতিও রয়েছে। অনেক ভক্ত আবার এইদিন উপবাস পালন করেন, ধ্যান করেন এবং পবিত্র শাস্ত্র পাঠ করেন। বুদ্ধ গয়াতে মহাবোধি গাছের নীচে বুদ্ধ নির্বাণ (মোক্ষ) অর্জনের সময়টিকে স্মরণেও শুভ দিনটি পালিত হয়।