কেবল ভারতে নয় বিশ্বজুড়ে হস্তরেখা শাস্ত্র খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির তালুতে অনেক গোপন রহস্য লুকানো থাকে। হাতের রেখা থেকে ভবিষ্যৎ ছাড়াও কোনও মানুষের চরিত্র এবং প্রকৃতি প্রকাশ পাওয়া যায়।
একজন মানুষ কতটা ধনী হবে? লেখাপড়ায় কতটা ভাল হবে? জীবনে কতটা সুখ- দুঃখ আছে? এমন সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকে হস্তরেখায়। হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের হাতের তালুতে 'এম' (M) রেখা থাকে তাদের জীবনে অর্থ ও খ্যাতির কোনও অভাব হয় না।
হাতের তালুতে কোন রেখাগুলি M তৈরি করে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃৎপিণ্ড (হৃদয়), মন (মাথা) এবং জীবনরেখা (জীবনরেখা) মিলিত হয়ে যখন তালুতে 'M' তৈরি হয়, তখন সে ভাগ্যবান বলে বিবেচিত হয়। হস্তশিল্পে এই 'M'-এর বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম মানুষই আছেন, যাদের হাতের তালুতে এই 'M' দেখা যায়। আর যাদের হাতের তালুতে ইংরাজি এই বর্ণ থাকে, তারা খুবই বিশেষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ব্যক্তিরা খুব ভাগ্যবান। তাদের কর্মজীবনে পরবর্তীতে দুর্দান্ত উচ্চতা অর্জন করে। এই ধরনের লোকেদের আত্ম-প্রেরণার অভাব নেই। তাদের এই গুণটি, তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলে।
হাতের তালুতে 'M' যুক্ত ব্যক্তিরা কেবল কর্মজীবনে দুর্দান্ত সাফল্যই অর্জন করেন না, তবে একজন ব্যক্তির পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও তাদের দুর্দান্ত বোঝাপড়া রয়েছে। ছলনা, ছলচাতুরি বা চতুরতা ধরতে এই মানুষগুলো খুবই পারদর্শী। যদি কোনও ব্যক্তি তাদের সামনে মিথ্যা কথা বললে বা প্রতারণা করলে, এদের আকছে সহজেই ধরা পড়ে।
তবে মনে রাখা জরুটি, হস্তরেখার এই নীতিটি ল্যাটা অর্থাৎ যারা বাম হাতে বেশি কাজ করে, তাদের ঠিক বিপরীতভাবে প্রভাবিত করে। কথিত আছে যে, এই 'M' এই ধরনের মানুষের বাম হাতে থাকলে শুভ ফল পাওয়া যায় না।