প্রায় গোটা দেশের মানুষ হোলির উৎসব (Holi) উদযাপন করেন। প্রায় এক মাস আগে থেকে চলে তার প্রস্তুতি। বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। তবে অনেক উৎসবগুলির মধ্যে সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল (Dol Yatra) বা হোলি। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। দোলের আট দিন আগে পালন হয় হোলিকা দহন (Holka Dahan) এবং একদিন আগে পালন হয় ন্যাড়া পোড়া (Nyara Pora)।
দোল পূর্ণিমার সময় (Dol Purnima Date & Time)
আগামী ১৭ মার্চ রাত ১:২৯ মিনিট থেকে ১৮ মার্চ বরাত ১২:৪৬ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
'হোলি কা দহন' কখন? (When Is Holika Dahan)
হোলি কা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এই তিথি শুরু হচ্ছে, ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৯.০৬ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে ১০.১৬ মিনিটে। মোট ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট থাকছে শুভ তিথি।
হোলিতে অমৃত যোগ (Auspicious Yog In Holi)
এই বছর হোলি খুব বিশেষ হতে চলেছে। অনেকগুলি শুভ যোগ তৈরি হবে। বৃদ্ধি যোগ, অমৃত যোগ, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ এবং ধ্রুব যোগ তৈরি হতে চলেছে এবারের রঙের উৎসবে। এছাড়া বুধ-গুরু আদিত্য যোগও তৈরি হচ্ছে। বুধ-গুরু আদিত্য যোগে হোলির পুজো করলে ঘরে সুখ শান্তি আসে।
হোলিকা দহন (Holika Dahan)
হিন্দু ধর্মে হোলিকা দহন (Holika Dahan) খুব পরিচিত একটি রীতি। হোলির ঠিক আট দিন আগে কোনও শুভ কাজ করা উচিত না। সেই সময়কালকে হোলিকা দহন বলা হয়। তবে এই রীতি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারত,নেপাল কিংবা পশ্চিম বাংলার বাইরে প্রচলিত। বাঙালিদের অনেকটা একই ধরণের উৎসব পালনের রীতি আছে যাকে ন্যাড়া পোড়ান বলে।
হোলিকা দহনের গুরুত্ব (Importance Of Holika Dahan)
প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর হোলিকা বধকে উদযাপন করা হয় হোলিকা দহনের মাধ্যমে। হোলির আগের দিন কোনও খোলা মাঠ বা স্থানে কাঠ ও জ্বালানি মজুদ করে সাজানো হয়। তার উপর একটি পুত্তলি রাখা হয়, যা হোলিকার প্রতীকী রূপ। এই হোলিকা প্রহ্লাদকে ছলনা করে আগুনে পোড়াতে চেয়েছিলেন। অনেকে এই সময় নিজেদের বাড়ি রঙ করেন ও সাজান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাবার, বিশেষত গুজিয়া, মালপোয়ার মতো মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। মনে করা হয় সমস্ত নেতিবাচক শক্তি এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।