Holi Vastu Tips: বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে তা সব কাজে বাধা দেয়। উন্নতিতে বাধা, শারীরিক জটিলতা থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষতির কারণ হল এই বাস্তুদোষ। এই বাস্তুদোষ হতে পারে নানা কারণে। একদিকে যেমন ঘরের ভুল দিক দর্শনের জন্য হতে পারে বাস্তুদোষ তেমনই বাস্তুদোষের আরও একটি কারণ হল ভুল কাজ। আমাদের ভুলে অধিকাংশ সময় দেখা দেয় বাস্তুদোষ। এবার এই বাস্তুদোষ দূর করতে হোলির সময় পালন করুন বিশেষ টিপস। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পালন করে এই উৎসব। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালিত হয় এই উৎসবে। হোলির আগের রাতে উত্তর ভারত, নেপাল ও দক্ষিণ ভারতে কিছু স্থানে ঐতিহ্যগত ভাবে আগুন জ্বালানো হয়। একে বলে হোলিকা দহন। বাংলায় তা ন্যাড়া পোড়ানো। এদিন কয়েকটি সহজ উপায় করলে বাস্তুদোষ কাটে। সুখ-সমৃদ্ধি-অর্থ আসে।
হোলি বা দোলের তিন বাস্তু টিপস
১. হোলির আগের দিন বুড়ির ঘর বা ন্যাড়াপোড়া করি আমরা। অবাঙালিরা বলেন হোলিকা দহন। আপনি যদি হোলিকা দহনের সময় আগুনে তাজা এবং কাঁচা গম নিবেদন করেন তবে তা আপনার বাড়ির জন্য খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই প্রতিকারে ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে চলে যায়। বাড়ির চারপাশে ইতিবাচক শক্তি আগমন হয়। এই দিনে হোলিকার অন্তত সাতটি পরিক্রমা করুন এবং সেখান থেকে আগুন ঘরে এনে উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন। এই প্রতিকারে আপনার বাড়িতে সর্বদা সুখ থাকবে।
২. হোলিকা দহনের সময় ভাঙা আসবাবপত্র ঘরে কখনও রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পুরানো এবং ভাঙা জিনিসগুলিতে নেতিবাচক শক্তি থাকে, তাই তাদের ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া ভাল বলে মনে করা হয়।
৩. দোলের আগে বাড়ির প্রতিটি কোণ ভাল করে পরিষ্কার করুন। দোলে ঘর পরিষ্কার করা সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ বিশেষ করে যেন নোংরা না থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বর উত্তর-পূর্ব দিকে বাস করেন। বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী এই স্থানটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে আপনার বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে না।
৪. এই আগুনের ছাই দিয়ে পালন করুন বিশেষ টোটকা।ন্যাড়া পোড়ানোর ছাই অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। এই ছাই বাড়িতে নিয়ে আসুন। এতে দূর হবে সকল বাস্তুদোষ। ন্যাড়া পোড়ানোর ছাই রাখুন বাড়ির দক্ষিণ পূর্ণ কোণে। এতে ঘরের সকল নেতিবাচক এনার্জি দূর হবে। এমনকী, নজর লাগা থেকে বাঁচতেও পালন করতে পারেন টোটকা। স্নান সেরে এই ছাই কলাপ ও গলায় লাগান। এতে আপনাকে কেউ নজর দিতে পারবে না।