হাতে অনেক রকমের রেখা থাকে। প্রতিটি রেখারই আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সবার হাতে এক রেখা থাকে না। প্রত্যেকের হাতেই রেখার ফারাক থাকে। কারও হাতে এমন কোনও রেখা থাকলেই কপাল খুলে যেতে পারে। আবার কারও হাতে কোনও বিশেষ রেখা থাকলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হস্তরেখাবিদ্যায় তাই রেখার বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
আমাদের ভাগ্যে কী রয়েছে এবং আগামী দিনে কোন খাতে বইবে জীবন, তা জানার জন্য অনেক সময়ই আমরা জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হই। সেই সঙ্গে হাতও দেখান। হাতের রেখা দেখে কারও ভাগ্য গণনা করা যায়। হাতে বিশেষ কিছু রেখা দিয়ে নানা যোগ তৈরি হয়। আর যাঁদের হাতে এই যোগগুলি তৈরি হয়, তাঁরা প্রচুর ধন-সম্পত্তির মালিক হন। তা হলে জেনে নিন, হাতে কোন যোগগুলি তৈরি হলে লাভবান হবেন...
* হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী, কারও হাতে ভাগ্যরেখা থেকে জীবনরেখা দূরে থাকলে ধনপতি যোগ তৈরি হয়। এর ফলে ওই জাতকরা সুখী হন। সেই সঙ্গে কখনও টাকার অভাব হয় না।
* কারও হাতে ভাগ্য রেখা সূর্য পর্বতে এসে থেমে গেলে ভাগ্যলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। এমন জাতকরা সুখী হন সবসময়। কখনও সুখ-সমৃদ্ধির অভাব হয় না।
* কারও হাতে শুক্র পর্বতে পদ্মের চিহ্ন থাকলে সমাজে সম্মান বাড়বে। অর্থলাভ হবে। এই জাতকদের ভাগ্য সবসময় সহায় থাকবে।
* কারও হাতে বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং চন্দ্র পর্বত উঠে থাকলে রাজলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। এই জাতকরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। পরিবারে সবসময় সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।
* হাতে শনি পর্বত এবং বুধ পর্বতের পাশে একটি বলয় রেখার দ্বারা যুক্ত হলে ধনলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। যাঁদের হাতে এই যোগ থাকে তাঁরা ভাগ্যবান হন। আর্থিক পরিস্থিতি সবসময় ভাল থাকে।
* কোনও ব্যক্তির মণিবন্ধ থেকে শুরু করে কোনও রেখা শনি পর্বতে পৌঁছলে এব চন্দ্র পর্বত থেকে কোনও রেখা সূর্য পর্বত অর্থাৎ অনামিকা আঙুল পর্যন্ত পৌঁছলে মহালক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। যাঁদের হাতে এই রেখা থাকে তাঁর ধনী হন।
* মণিবন্ধ রেখা থেকে ভাগ্য রেখা, সূর্য রেখা এবং বুধ রেখা বেরোলে নবলক্ষ্মী যোগ তৈরি হয়। এতে জাতকরা প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক হন।
* হাতে সূর্য পর্বত উঠে থাকলে এবং সূর্য রেখা হাতের মধ্যিখানে এসে শুক্রের দিকে ঘুরে গেলে রাজরাজেশ্বর যোগ তৈরি হয়। এই জাতকরাও ধনী হন। সুখে জীবন কাটে এঁদের।