খাওয়ার সময় মানুন বাস্তুবাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘর ও খাবার খাওয়া নিয়ে একাধিক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। বাস্তু অনুযায়ী, সঠিক জায়গায় খাবার তৈরি করা ও সঠিক দিশায় বসে খাওয়া, ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখে। আর যদি এগুলো না মেনে চলেন, তাহলে নেতিবাচকতা বাড়তে পারে সংসারে। যার মধ্যে স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া, অর্থের সমস্যা, অশান্তি ও মানসিক চাপ অনুভব হতে পারে। এই কারণে রান্নাঘর ও খাবারের থালা নিয়ে কিছু সহজ বাস্তু টিপস জেনে নিন।
রান্নাঘরের সঠিক দিশা
বাস্তু অনুসারে, রান্নাঘরের সঠিক দিশা হওয়া উচিত বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব অর্থাৎ অগ্নি কোণ। এটি অগ্নি তত্ত্বের দিশা বলে মনে করা হয়, তাই এই দিশাতে করা রান্না ও খাবার খেলে জীবনে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। রান্না করার সময় ব্যক্তির মুখ পূর্বদিকে হওয়া উচিত। এতে খাবারে ইতিবাচকতা বজায় থাকে। উত্তর-পূর্ব দিকে রান্নাঘরের সঠিক দিশা বলে বিবেচিত হ,ও দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক রান্নাঘরের জন্য শুভ নয়।
খাবার খাওয়ার সঠিক দিশা
খাওয়ার দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেতে বসার সময়, পূর্ব দিকে মুখ করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এটি শরীরকে সৌরশক্তি সরবরাহ করে এবং মনকে সতেজ রাখে। উত্তর দিকে মুখ করে খাওয়ার ফলেও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়, কারণ এটিকে কুবেরের দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাওয়া উচিত নয়। পশ্চিম দিকে মুখ করে খাওয়ার ফলে মাঝারি উপকার পাওয়া যায়।
খাবার প্লেটের নিয়ম
খাবার পরিবেশনের সময়, প্রথমে প্লেটে রুটি বা ভাত রাখুন। এটি দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। প্লেটের ডানদিকে লবণ এবং বাম দিকে আচার রাখুন। খাওয়ার জন্য স্টিল বা ব্রোঞ্জের প্লেট ব্যবহার করাই ভালো বলে মনে করা হয়। সর্বদা শান্ত মন নিয়ে খাওয়া উচিত। খাওয়ার সময় টিভি দেখা বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে খাবারের ইতিবাচক শক্তি কমে যায়। অবশিষ্ট খাবার কখনও ফেলে দেবেন না; বরং পাখি বা অভাবীদের দান করুন।