Kedarnath Yatra 2025 Cheap Tour: কেদারনাথ দর্শন মাত্র ৬ হাজার টাকায়, কীভাবে প্ল্যান করবেন? রইল

Kedarnath Yatra 2025 Cheap Tour: ২০২৫-এ কেদারনাথ যাত্রায় ভাঙল সব রেকর্ড! ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ লক্ষ। আপনার বাজেট যদি কম হয়, তা হলেও চিন্তা নেই। সামান্য খরচে পৌঁছতে পারবেন মহাদেবের দরজায়। ট্রেন, শেয়ারিং ট্যাক্সি, ঘোড়া, হোটেল–সব খরচের হদিসসহ জেনে নিন পূর্ণ পরিকল্পনা।

Advertisement
কেদারনাথ দর্শন মাত্র ৬ হাজার টাকায়, কীভাবে প্ল্যান করবেন? রইল৬ হাজার টাকায় কেদারনাথ দর্শন, জানুন কীভাবে করবেন প্ল্যান

Kedarnath Yatra 2025 Cheap Tour: কেদারনাথ যাত্রায় ভক্তরা রেকর্ড গড়লেন। এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষের বেশি ভক্ত মহাদেবের দর্শন করতে পৌঁছে গিয়েছেন। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এখানে আসেন। ২০১৩ তে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের পরও লোকেদের উৎসাহ একটুও কমেনি। সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে মানুষ সেখানে পৌঁছেছেন। যদি আপনি কেদারনাথ যাত্রা করতে চান কিন্তু বাজেটের কারণে ভয় পাচ্ছেন, তাহলে আপনাকে জানিয়ে দিই, খুব সস্তায় কেদারনাথ যাত্রা প্ল্যান করতে পারেন।

কীভাবে সস্তায় কেদারনাথ যাবেন?
যদি আপনি ট্রেনে যাত্রা করেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশন হবে হরিদ্বার এবং হৃষিকেশ। যে শহর থেকে ট্রেনের ভাড়া আপনি যে শ্রেণিতে যাত্রা করতে চান সেই অনুযায়ী ঠিক হবে। যদি আপনি দিল্লি থেকে যান তাহলে জেনারেল টিকিট ২০০ টাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সোনপ্রয়াগ যেতে হবে। আপনি এখানে বাস এবং ট্যাক্সির সুবিধা পেয়ে যাবেন সেখান থেকে ভাড়া ৬০০ টাকা। সেখানে শেয়ারিং ট্যাক্সি করে গেলে ওটা ৮০০ টাকা পড়বে জনপ্রতি। যদি নিজের প্রাইভেট গাড়িতে যান তাহলে আপনি সোনপ্রয়োগে গাড়ি পার্ক করে তারপর আপনাকে যেতে হবে।

সোনপ্রয়াগে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে
যদি আপনি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেন তাহলে আপনাকে এটা এখানে দেখাতে হবে। নাহলে এখানেই রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ার পর আপনাকে গৌরিকুন্ডে যেতে হবে। গৌরিকুন্ডর জন্য সোনপ্রয়াগ থেকে ট্যাক্সি পাওয়া যায়। যার জন্য আপনাকে মাত্র ৫০ টাকা খরচ করতে হবে। সোনপ্রয়াগে থেকে গৌরিকুন্ডের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। গৌরিকুন্ডতে থাকার জন্য আপনি হোটেল এবং গেস্ট হাউস পেয়ে যাবেন।

গৌরিকুন্ডে পবিত্র স্নান
গৌরিকুন্ডে আপনি গোড়ামাই মন্দিরের দর্শন করতে পারবেন। সেখানে পবিত্র স্নান করার জন্য কুন্ড রয়েছে ।উষ্ণ প্রস্রবণে স্নান করে ভক্তরা নিজের যাত্রা শুরু করেন। এখানকার এই উষ্ণপ্রস্রবণ বিখ্যাত এই কুণ্ডে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সবসময় গরম জল বের হয়। কুন্ড থেকে পরে পরবর্তী লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য আপনাকে পিট্ঠু বা পালকিতে যেতে হবে। তার রেট লিস্ট সেখানে দেওয়া রয়েছে। যদি আপনি ঘোড়াতে যেতে চান তাহলে আপনি ঘোড়াও পেয়ে যাবেন। যদি আপনি ট্রেক করে যেতে চান তাহলে আপনাকে হেঁটে যেতে হবে।

Advertisement

কেদারনাথ

গৌরীকুন্ড থেকে তিন কিলোমিটার চলার পরে সবার আগে আসে চিরবাসা ভইরোনাথজির মন্দির। মন্দির থেকে এক কিলোমিটার চলার পরে জঙ্গলপট্টি পরে। এখানে রাতে থাকার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা থাকে। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার সমস্ত জিনিস এবং মেডিকেল ক্যাম্প থাকে। যতটা আপনি উপরে যেতে থাকবেন আবহাওয়া বদলাতে শুরু করবে। রাস্তায় একাধিক জায়গা রয়েছে যেখানে লোকেরা চাইলে রাতে থেকে দ্বিতীয় দিন নিজের যাত্রা শুরু করতে পারেন। রাস্তায় আপনি গ্লেসিয়ারও দেখতে পাবেন। কেদারনাথ মন্দির থেকে এক কিলোমিটার আগে ঘোড়া বা খচ্চর থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে আপনাকে ওই কিলোমিটার হেঁটেই যেতে হবে

হেলিপ্যাডে ভগবান দর্শন
হেলিপ্যাডে যদি দর্শন করতে চান তাহলে টোকেন কাউন্টারে পাবেন। এখান থেকে আপনি টোকেন নিয়ে মন্দিরের বাইরে থাকার জন্য ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত টেন্ট পাওয়া যায়। টোকেনে আপনার টাইম স্লট দেওয়া থাকবে। সেই সময়ে আপনাকে বাবার দর্শন করানো হবে। মহাকালের দর্শনের পর যখনই আপনি বেরোবেন বাঁদিকে শ্রী ঈশানেশ্বর মহাদেব মন্দির। যেখানে আপনি অবশ্যই দর্শন করবেন।

ভীমশিলা দর্শন
মন্দিরের পেছনে ভীমশিলা রয়েছে। এটি অত্যন্ত পবিত্র এবং দর্শনীয় স্থান। এই শিলা ২০১৩তে কেদারনাথ বিপর্যয় মন্দিরকে রক্ষা করেছিল।

মন্দিরের গর্ভ গৃহে দর্শন
যদি মন্দিরের গর্ভ গৃহে দর্শন করতে চান তাহলে তার আলাদা কাউন্টার রয়েছে। সেখানে আপনি এগারোশো টাকা দিয়ে পাস নিতে হবে। যার পরে আপনি মন্দিরের গর্ভগৃহে গিয়ে দর্শন করতে পারবেন।

কেদারনাথ বিশেষ আরতি
সন্ধ্যা সাতটায় বাবা কেদারনাথের বিশেষ আরতী হয়। মন্দিরের কাছে আদিগুরু শঙ্করাচার্যের সমাধি রয়েছে। যিনি এই মন্দিরে নির্মাণ করেছিলেন। সমস্ত কিছু দেখে আপনি প্রসন্ন চিত্রে ফিরতে পারবেন।

 

POST A COMMENT
Advertisement