শনিদেব হলেন কর্মফলের দেবতা। যে যেমন কাজ করে, তাকে তেমনই ফল দিয়ে থাকেন। শনির অশুভ প্রভাবকে সবাই ভয় পায়। শনির দশার কবলে পড়লে জাতক নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শনির অশুভ দশার মধ্যে একটি হল সাড়ে সাতি এবং অন্যটি হল ঢাইয়া। শনির এই দুটো দশাই জাতকদের জীবনকে ছারখার করে তোলে। আসুন জেনে নিন এই শনির ঢাইয়া আসলে কী এবং তার প্রতিকার।
সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া
বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে শনি সবচেয়ে ধীরে নিজের স্থান পরিবর্তন করে। এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যেতে শনির আড়াই বছর সময় লাগে। সেই কারণে গোটা রাশিচক্রকে ঘুরে আসতে শনির ৩০ বছর সময় লাগে। শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়া দশার নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। কারণ এই দুই দশাই জাতকের আর্থিক ও শারীরিক সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। তার মানে এই নয় যে সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া চলাকালীন জাতক সব সময় বিপদের মধ্যে থাকে।
শনির ঢাইয়া দশা
জন্মছকে শনি চতুর্থ বা অষ্টম ঘরে থাকলে ঢাইয়া চলে। ঢাইয়া একবার শুরু হলে আড়াই বছর স্থায়ী হয়। এই সময় মানসিক অবসাদে ভোগেন জাতক। আর্থিক ক্ষতির মধ্যেও পড়তে হয় জাতককে। তবে ঢাইয়ার দশা সাড়ে সাতির থেকে কম ক্ষতিকর।
ঢাইয়ার থেকে মুক্তির উপায়
-হনুমান চল্লিসা পাঠ করলে ঢাইয়ার কষ্ট কমে।
-মহাদেবের পুজো করুন ও শিবমন্ত্র জপ করুন।
-ঢাইয়া চললে গরু, কাক ও কুকুরকে রুটি খাওয়ান।
-দরিদ্রদের অন্নদান করুন।
শনির ঢাইয়া থেকে মুক্তি পেয়েছে কারা
২০২৫ সালে শনির ঢাইয়া থেকে মুক্তি পেয়েছে কর্কট ও বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা।
২০২৫ সালে ওই রাশির ওপর চলছে শনির ঢাইয়া
২০২৫ সালে শনির রাশি পরিবর্তন হয়েছে ২৯ মার্চ। শনি কুম্ভ রাশি থেকে বেরিয়ে মীন রাশিতে প্রবেশ করবে। শনির গোচর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ভিত্তিতে শনির সাড়েসাতি ও শনির ঢাইয়ার মূল্যায়ন করা হয়। ২০২৫ সালে শনি গোচরের পর থেকে সিংহ ও ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের উপর শনির প্রভাব শুরু হবে। এই দুই রাশিচক্রকে শনির প্রভাবের সম্মুখীন হতে হবে।