আশা ও সম্ভাবনায় ভরা নতুন বছরের ২০২৩ শুরু হওয়ার পর প্রথম মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে। মানুষের আশা, গত বছর যে কাজগুলো অসম্পূর্ণ ছিল তা এ বছর অবশ্যই সম্পন্ন হবে। এ জন্য নিজের পক্ষে কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি দেব-দেবীদের খুশি করার কাজেও নিয়োজিত রয়েছেন মানুষ। এই প্রতিবেদনে জীবনে সাফল্যের জন্য লাল কিতাবে উল্লিখিত ৪টি নিশ্চিত প্রতিকারের বিষয়ে বলা হবে। মনে করা হয় এগুলি মেনে চললে অবশ্যই ধরা দেবে সাফল্য।
বছরে দু'বার গাছ লাগান
আপনি যদি চান যে আপনার সমস্ত কাজ এই বছরে ভালভাবে সম্পন্ন হোক, তাহলে আপনার উচিত গাছের পরিচর্যা করা। কথিত আছে, যে ব্যক্তি নিজের জীবদ্দশায় একটি নিম, একটি অশ্বত্থ, ৩টি কাঁঠান, ৩টি বেল, ৩টি আমলকী, ৫টি আম এবং ১০টি তেঁতুল গাছ লাগান, তিনি জন্ম-জন্মান্তরের চক্র থেকে মুক্ত হয়ে যান। অতএব, আপনাকে বছরে দু'বার বিভিন্ন সংখ্যক চারা রোপণ করা উচিত।
কম্বল দান করুন
শীতের মরশুম চলছে। এই পরিস্থিতিতে দরিদ্র্যকে কম্বল দান করা খুবই ভাল কাজ বলে মনে করা হয়। লাল কিতাব অনুসারে, কোনও দরিদ্র্য মানুষ বা মন্দিরে নিজে হাতে কম্বল দান করুন। সেই কম্বলটি সাদা এবং কালোরঙের মিশ্রণ হতে হবে। চেষ্টা করুন এই দান যদি শনিবার হয় তবে আরও ভাল। তাতে রাহু-কেতুর দোষও দূর হয়।
হনুমানজিকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিন
হনুমানজি যে কোনও ধরনের সংকট কাটিয়ে দেন। এর জন্য বছরে দু'বার হনুমানজিকে লাল রঙের বস্ত্র অর্পণ করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রবাহমান জলে সিঁদুর, বাতাশা, রাবড়ি ও মধু ঢালুন। এমনটা করলে মঙ্গলের দোষ দূর হয় এবং জীবনে সাফল্য আপনার পায়ে এসে ধরা দেয়।
বিশেষভাবে সক্ষমদের খাবারের ব্যবস্থা
লাল কিতাব অনুসারে, বছরে অন্তত ১০ জন বিশেষভবে সক্ষম ব্যক্তি, সন্ন্যাসী বা কন্যাকে খাওয়ানো উচিত। এই কাজটি বছরে দু'বার করা ভাল। যদি এটি করা সম্ভব না হয় তবে পশু-পাখিদের খাওয়ান এবং তাদের জন্য ছাদে জল রাখুন। এছাড়া গোশালায় পশুখাদ্যের জন্যও দান করতে পারেন। এমনটা করলে শনিদোষ দূর হয় এবং পুণ্য লাভ হয়।
আরও পড়ুন - অস্ত যাচ্ছে শনি, ৪ রাশির অভাবনীয় সাফল্যের যোগ