কথায় বলে, 'জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে'। কবে- কার সঙ্গে বিয়ে হবে, এটা কেউ বলতে পারে না। অনেকেরই বিয়ে নিয়ে নানা সমস্যা হয়। ফলে সেই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যরা চিন্তায় থাকেন। সনাতন ধর্মে, সূর্যদেবকে গ্রহের রাজা হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
বিশ্বাস অনুযায়ী, সূর্যদেবের আরাধনা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয়। যারা সকালে স্নান ও ধ্যান করে ভগবান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন, তাদের কুণ্ডলীতে সূর্যদেব শক্তিশালী অবস্থানে থাকেন। এর ফলে তারা সফলতা পান। কুণ্ডলীতে সূর্যদেবতার দৃঢ় অবস্থানের কারণে সেই ব্যক্তি সর্বোচ্চ পদ লাভ করে এবং ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি থাকে।
জ্যোতিষদের মতে, যাদের সূর্য তাদের রাশিতে শক্তিশালী অবস্থানে না থাকে এবং আপনি চান সূর্য শক্তিশালী অবস্থানে থাকে, তাহলে কিছু প্রতিকার করা জরুরি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে, স্নান করে তামার পাত্রে জল, চাল, লাল সিঁদুর, লাল ফুল এবং চিনি মিশিয়ে ভগবান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। সূর্যোদয়ের সময় এর ফলে সূর্যদেব প্রসন্ন হোন এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
বিয়ের সমস্যা দূর করার উপায়
জ্যোতিষাচার্যের মতে, যাদের বিয়েতে অনেক বাঁধা আসছে বা দেরি হচ্ছে, তাদের তামার পাত্রে জল ও হলুদ মিশিয়ে সূর্যদেকে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিত। এতে বিয়ে দ্রুত সম্পন্ন হয়। যারা সূর্যোদয়ের সময় ভগবান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে চান, তারা সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করলে বেশি সুবিধা পাবেন। এই সময়ে 'ওম ঘ্রিণী সূর্য নমঃ' মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এতে সূর্য দেবতা প্রসন্ন হোন।
সূর্যদেবের পুজো করলে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে সূর্যের ইতিবাচক প্রভাবে সমাজে সম্মান বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য ও সরকারি চাকরি পেতে পারেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর, সূর্য ধনু রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছে। এরপর ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত এই রাশিতেই থাকবে। একে ধনু সংক্রান্তিও বলা হয়। সূর্যের গতিবিধির পরিবর্তনের কারণে শুধু ধনু রাশির জাতকদের নয়, সমস্ত রাশির জাতকদের জীবনেও পরিবর্তন আসবে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)