Nazar Dosh Upaay: জ্যোতিষশাস্ত্রে নজর দোষ যথেষ্ট শক্তিশালী বলে বিবেচিত হয়। নজর দোষ নেতিবাচক শক্তির সঙ্গে জড়িত। কারো চিন্তাভাবনা, স্বভাব এবং যোগাযোগ যদি আমাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তবে তাকে জার লগ্ন বলা হয়। নজর দোষের কারণে জীবনে ইতিবাচক শক্তি স্থবির হয়ে পড়ে এবং ব্যক্তির উন্নতি বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। নজর দোষের কারণে মানুষ প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশুরা খুব দ্রুত নজর দোষে আক্রান্ত হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক একজন মানুষের নজর দোষের প্রভাব কী কী সমস্যা হতে পারে এবং কীভাবে তা দূর করা যায়...
নজর দোষ বা কুনজর লাগলে কী হবে?
যে কোনো ব্যক্তির নজর দোষ আছে সে খুব ঘন ঘন অসুস্থ হতে শুরু করে। অকারণে মন অস্থির থাকে এবং চারপাশের সবকিছু খারাপ হতে থাকে। এটি পারস্পরিক সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। নজর দোষ লাগলে বা কারও কুনজরের প্রভাবে কোনও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক কলহ ও ক্ষোভ বেড়ে যায়। সব টাকা অসুস্থতার পিছনে খরচ হতে থাকে। শুধু তাই নয়, এর ফলে চাকরিতেও সমস্যা শুরু হয়। ব্যবসায় বিনিয়োগ করা অর্থ আটকে যায়। কুনজর লাগার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: এই ধরনের স্বপ্ন খুব অশুভ, আর্থিক সমস্যা-সাংসারে অশান্তির ইঙ্গিত!
শিশুদের নজর দোষ বা কুনজর লাগার ঘটনা হামেসাই ঘটে। এ ক্ষেত্রে শিশুরা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনটা হলে একটি লাল শুকনো লঙ্কা নিয়ে শিশুর মাথার চারপাশে সাতবার ঘুরিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিন। শুকনো লঙ্কাটা সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়া পর্যন্ত পিছনে তাকাবেন না। ঘরকে নজর দোষ বা কুনজর থেকে বাঁচাতে ঘরে আবর্জনা জমতে দেবেন না। প্রতি সন্ধ্যায় পূজার স্থানে প্রদীপ জ্বালান। সপ্তাহে একবার বাড়িতে ভজন-কীর্তনের আয়োজন করুন। চাকরিতে বারবার সমস্যা হলে বাম হাতের মধ্যমা আঙুলে লোহার আংটি পরুন। মন্দ চোখ এড়াতে চন্দনের সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।