হিন্দুধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এটি শুধুমাত্র ঘর তৈরির নিয়মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের মঙ্গল, সম্পর্ক এবং আর্থিক স্বচ্ছলতার উপরও প্রভাব ফেলে। বিশ্বাস করা হয়, বাড়িতে বাস্তু ঠিক থাকলে পরিবারের মধ্যে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করে। আবার যদি কোনও বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি বা দোষ থাকে, তবে জীবনে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোনও বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে, কিছু লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। চিনে নিন লক্ষণগুলি।
পরিবারে অশান্তি
যদি বাড়িতে ছোটখাটো বিষয়েও তর্ক-বিতর্ক বেড়ে যায়, বা কারণ ছাড়াই উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়, তবে এটিকে বাস্তু ত্রুটির লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বসার ঘর এবং শোবার ঘরের ভুল অবস্থান এই বাস্তু ত্রুটির কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য সমস্যা
যদি পরিবারের কোনও সদস্য ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন, অথবা সবাই মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা অনিদ্রার মতো ছোটখাটো সমস্যা অনুভব করতে শুরু করেন, তবে এটি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির লক্ষণ। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বাড়িতে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাও বাস্তু ত্রুটির লক্ষণ হতে পারে।
আর্থিক ক্ষতি
ব্যবসা বা চাকরিতে ক্রমাগত কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও, লাভের অভাব, আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা ব্যয় বৃদ্ধি বাস্তু দোষের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্বাস অনুসারে, আপনার বাড়িতে বা দোকানে ভুল দিকে সিন্দুক রাখলে আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে পারে।
বাড়িতে অনুভূতি না থাকা
যদি কোনও ব্যক্তি বাড়িতে অস্বস্তি বা বিরক্তি বোধ করেন, তবে এটি নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতি নির্দেশ করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির ঠাকুরঘরের ভুল দিক মানসিক শান্তিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বিক্ষেপ সৃষ্টি করতে পারে।
কাজ বন্ধ বা অসম্পূর্ণতা
যদি বাড়িতে কোনও কাজ শুরু হয় এবং বারবার আটকে যায় বা সম্পন্ন না হয়, তবে এটিও বাস্তু ত্রুটির লক্ষণ। চাকরি বা পড়াশোনায় বাধা, বিলম্বিত পদোন্নতি এবং সাক্ষাৎকারে বারবার ব্যর্থতাও এর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, প্রধান দরজা এবং রান্নাঘর ভুলভাবে স্থাপন করা হলে এই ধরনের পরিণতি দেখা দেয়।