ইভিল আইনতুন বছর প্রায় চলেই এসেছে। বাস্তুশাস্ত্রে এই বছরটিকে শুভ করার জন্য বেশ কিছু উপায় বা আছে। অনেকে নতুন বছরে নতুন বাড়ি, গাড়ি কেনেন। যার সঙ্গে কু-দৃষ্টি বা নজর লাগার ভয় জড়িয়ে থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যখন কারও কুনজর লাগে, তখন এর প্রভাব আর্থিক জীবন এবং স্বাস্থ্যের উপর সবচেয়ে বেশি পড়ে। কিছু বিশেষ প্রতিকার রয়েছে, যা নিশ্চিত করবে যাতে নতুন বছরে আপনার বাড়িতে কোনও কুদৃষ্টির প্রভাব পড়বে না। কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতিকার কী কী জেনে নিন।
স্বস্তিক বা গণেশ
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নতুন বছরের প্রথম দিনে বাড়ির প্রধান দরজায় লাল রঙের স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। চাইলে বাজার থেকে একটি স্বস্তিক কিনেও প্রধান দরজায় লাগাতে পারেন। এছাড়াও, প্রধান দরজায় গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে, এই সহজ পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে পুরো বাড়ি ইতিবাচক শক্তিতে ভরে উঠবে।
ঘোড়ার নাল
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বছরের দিনে প্রধান দরজায় একটি কালো ঘোড়ার নাল ঝুলিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে, ঘোড়ার নাল ঝোলানোর জন্য শনিবার সবচেয়ে শুভ দিন। এদিন এটি করার পর একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে শনিদেবের মন্ত্র জপ করুন। এই একটি মাত্র উপায়েই কুদৃষ্টি দূর হবে।
পাতার মালা
নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রধান দরজার বাইরে আম বা অশোক পাতার মালা ঝুলিয়ে রাখা অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই মালাটি প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরিবর্তন করা উচিত। এছাড়াও বলা হয় যে, এই মালাটি কুদৃষ্টি থেকে সুরক্ষার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
গম ও লবণের পুঁটলি
বাস্তু মতে, এই দিনে আপনি একটি সাদা কাপড়ে সামান্য লবণ, গম বা সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে একটি পুঁটলি তৈরি করতে পারেন। তারপর, এই পুঁটলিটি প্রধান দরজার বাইরে লুকিয়ে ঝুলিয়ে দিন। এটি আপনার বাড়ি থেকে যে কোনও কুদৃষ্টি দূর করবে। তবে মনে রাখবেন, এই পুঁটলিটি প্রতি ২-৩ মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)