সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, এক বছরে পালিত ২৬টি একাদশী উপবাসের মধ্যে নির্জলা একাদশীর উপবাস অত্যন্ত বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, এই উপবাস পালন করতে মানুষকে নির্জলা থেকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। যার কারণে তাঁরা স্বর্গ-সহ সম্পদ, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি লাভ করে। কথিত আছে যে এটি করলে ভগবান বিষ্ণুকে দেখতে পাওয়া যায়।
নির্জলা একাদশীর উপবাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার নির্জলা একাদশী উপবাস হবে ৩১ মে। নির্জলা একাদশী জল না খেয়ে পালন করা হয়। যদিও একাদশী উপবাসে মানুষ ফল খায়, কিন্তু এই উৎসবে এমন কোনও নিয়ম। তাই এটি শ্রেষ্ঠ একাদশী হিসেবে বিবেচিত হয়।
এভাবেই শুরু হয় নির্জলা একাদশী
ব্যাস ঋষি ভীমসেনকে বলেছিলেন যে তিনি যদি শুধুমাত্র নির্জলা একাদশী উপবাস করেন, বছরের বাকি যে কোনও একাদশীর পরিবর্তে শুধু নির্জলা একাদশী পালন করেন, তাহলেই সারা বছর মোট ২৬টি একাদশী পালন হয়ে যাবে। নির্জলা একাদশী পালন করলে ফল পাওয়া যায়। তাই নির্জলা একাদশীর উপবাস অবশ্যই পালন করতে হবে। যার কারণে ভগবান বিষ্ণুকে স্বচক্ষে দেখা যায়। যারা একাদশী উপবাস করবেন, তাঁরা ভগবান বিষ্ণুর দর্শন পাবেন। তাই একাদশীর উপবাস পালন করা উচিত এবং এতে নির্জলা থাকা উচিত, যা সমস্ত একাদশীর উপবাসে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
এসব প্রতিকার করুন
অশ্বত্থ গাছের প্রতিকার- নির্জলা একাদশীতে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। এছাড়াও হালকা জল এবং ধূপ ইত্যাদি দেখালে আপনি ধন ও শস্য পাবেন। আর মা লক্ষ্মীর আগমন সর্বদাই থাকবে।
অর্থ লাভের উপায়- আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং বিবাহিত জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি পেতে একাদশী উপবাসের দিন তুলসী মাতাকে লাল চুনরি অর্পণ করুন। লাল রংকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। তাই এই প্রতিকার করলে শুধু ভগবান বিষ্ণুই প্রসন্ন হন না, দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদও ভক্তদের ওপর থাকে।
সম্পদ লাভের উপায়-দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে পুজায় কড়ি ব্যবহার করুন। হলুদ কাপড়ে বেঁধে পুজো করুন। এরপর তাদের টাকা রাখার জায়গায় রাখুন। এতে করে টাকা বাড়তে শুরু করবে।
তুলসীর প্রতিকার- ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী অত্যন্ত প্রিয় এবং মা লক্ষ্মীও এই দিনে তুলসী পুজো করে খুশি হন। নির্জলা একাদশীতে সকালে স্নান করে তুলসীমূলে কাঁচা দুধ অর্পণ করুন। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
জল দান করুন- নির্জলা একাদশীতে জল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, জল সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জল দান করলে সুখ ও সমৃদ্ধি পাওয়া যায়।