পৌষ মাসে ভুলেও খাবেন না এই শাক-সবজিপৌষ মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। পুষ্যা নক্ষত্র থেকে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে। কৃষিকাজের জন্য় এই মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাস আসা মানেই পিঠে-পুলি খাওয়ার দিন। তবে এই নির্দিষ্ট মাসের জন্য রয়েছে কিছু নিয়ম নীতি এবং জ্যোতিষ টোটকা। জ্যোতিষশাস্ত্রেও পৌষ মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ও মাহাত্ম্যময়।
পৌষমাসে কী খাবেন, কী খাবেন না, কী করবেন, কী করবেন না-সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ আছে৷ আয়ুর্বেদ ও কবিরাজি শাস্ত্র অনুযায়ী এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়। মনে করা হয় এই আহারবিধি ও আচরণ নির্দেশিকা পালন করলে শরীর সুস্থ থাকে। রোগ ব্যাধি না হলে চিকিৎসক-ওষুধ খাতেও খরচ হয় না। ফলে সংসারে অর্থকষ্ট আসে না, বলছেন জ্যোতিষবিদরা।
কচুশাক খাওয়াও নিষিদ্ধ
আয়ুষ নির্দেশিকার সঙ্গে মিশে যায় জ্যোতিষ অনুষঙ্গ৷ সেই ধারা অনুসারে পৌষমাসে কিছু খাবার গ্রহণ করা নিয়মবিরুদ্ধ। এই মাসে গ্রহণ করবেন না কচুশাক৷ কবিরাজি মতে শীতে কচুশাক খেলে গলা চুলকানির সমস্যা বাড়তে তো পারে। এছাড়া দেখা দিতে পারে ত্বকের সংক্রমণও।
মেথি শাকের বড়া
মেথি শাকও কোনও মতেই খাওয়া যাবে না এই মাসে৷ মনে করা হয়, মেথি শাকের মতো তামসিক ও তিক্ত খাবার খেলে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ে। দেখা দিতে পারে সাংসারিক তিক্ততাও। জীবনে সব দিক থেকে জটিলতা বাড়বে।
ঝিঙে খাবেন না
পৌষ মাসে ঝিঙে খাওয়া বর্জনীয়। ঝিঙে এমন এক সবজি, যাতে জলের পরিমাণ বেশি। বেশি জলীয় অংশের জন্য শরীরকে সুশীতল করে এই সবজি। শীতকালে এরকম সবজি খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সময় ঝিঙে বিশেষ মেলে না বাজারে৷ পাওয়া গেলেও কিনবেন না। মনে করা হয় পৌষমাসে এই দুই শাক ও এক সবজি খেলে বাড়বে শারীরিক অসুস্থতা৷ ফলে রোগ ব্যাধির কারণে সংসারে অশুভ প্রভাব বাড়তে পারে