Year 2026 Predictions: ধ্বংস ডেকে আনবে, ২০২৬ নিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

2026 Predictions in Bengal: ২০২৫ সালেই ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব যুদ্ধ, হিংসা, বিমান দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, দুর্যোগ ইত্যাদির কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তা সে ইরান-ইজরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত ও যুদ্ধ হোক বা আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা। কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ কমার পরিবর্তে আরও গভীর হচ্ছে। কারণ আসন্ন ২০২৬ সাল ২০২৫ সালের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে চলেছে। 

রৌদ্র সংবৎসর বিপর্যয় সৃষ্টি করবে 
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বিক্রম সংবতের ২০৮২ সালের অধীনে  সিদ্ধার্থ সংবৎসার চলছে। এই সংবৎসার সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, তাতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে ভারত এবং বিশ্ব অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়াও, খরা, বন্যা এবং ভূমিকম্পও পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে। এর পরে, যখন আগামী বছরের ১৯ মার্চ থেকে বিক্রম সংবৎ ২০৮৩ শুরু হবে, তখন এটি হবে রৌদ্র নামে একটি সংবৎসার। 

এই রৌদ্র সম্বৎসর দেশ ও বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। সর্বত্র গণহত্যা হবে। আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন হবে, যা মানবজাতির জীবনকে আরও ধ্বংস করবে। ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হবে। মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে। 

১২ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সময়কাল সবচেয়ে বিপজ্জনক
জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, ১২ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে সময়টি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে। এই সময়ে, বৃহস্পতি, চন্দ্র এবং সূর্য, তিনটি গ্রহ কর্কট রাশিতে থাকবে। তারপর এই তিনটি গ্রহ পুষ্য নক্ষত্রে যাবে, যা শনির নক্ষত্র। এই সময়ে, গ্রহগুলির অবস্থান একদিকে বন্যা আনতে পারে। অন্যদিকে, অনেক জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে। 

'শানি' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে  
শনি বর্তমানে মীন রাশিতে অবস্থান করছে এবং মীন রাশি ত্যাগ করে ২০২৭ সালের জুন মাসে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে। এর পরে, শনি ২০২৯ সাল পর্যন্ত মেষ রাশিতে থাকবে। এই পরিস্থিতি আবহাওয়ার ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়াও, ২০২৬ সালে একটি মহাযুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে, দেবগুরু বৃহস্পতি, মঙ্গল এবং রাহু-কেতুর অবস্থান মানুষের সুখ এবং কর্মসংস্থান কেড়ে নিতে পারে। রাহু পৃথিবীতে বিভ্রান্তি ছড়াবে এবং মহামারির প্রাদুর্ভাব ডেকে আনতে পারে। 

(Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)