পিরিয়ডের সময় পুজো করা উচিত?প্রতি মাসেই মহিলাদের ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর এই সময় অনেক কিছু নিময়-রীতি পালন করার কথা বহু যুগ ধরেই মেনে আসছেন মহিলারা। যার মধ্যে অন্যতম হল পিরিয়ডসের সময় মন্দির অথবা বাড়ির ঠাকুরঘরে যেতে নেই মহিলাদের। পুজোও করতে নেই এই সময়। আসলে অনেকেই বলে থাকেন যে পিরিয়ডসের সময় শরীর খুবই দুর্বল থাকে, যার জন্য এই সময় তাঁদের বিশ্রাম করতে বলা হয়। শাস্ত্রে ঋতুস্রাব নিয়ে একাধিক নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে, বৃন্দাবন মথুরার জনপ্রিয় আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজও পিরিয়ডস নিয়ে কথা বলেছেন। এরই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের পুজো করা উচিত কিনা।
পিরিয়ডসে পুজো করা উচিত?
প্রেমানন্দ মহারাজ এই বিষয়ে বলেছেন, 'মাসিক ধর্ম শরীরের এক প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক মা-বোনেদের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। এটা প্রতি মাসে একবার হয় এবং এটি শরীরের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়।' প্রেমানন্দজি আরও বলেন, 'এই সময় মহিলাদের স্নান করে নিজেকে পরিষ্কার রাখা উচিত আর শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিয়ে মনে ভগবানের দর্শন দূর থেকেই করা উচিত। এই সময় পুজোর কোনও জিনিস ছোঁয়া বা মন্দিরে কোনও পুজোর কাজ করার দরকার নেই। তবে মনে ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকা দরকার।' তিনি আরও বলেছেন, 'ভগবানের কাছে পৌঁছানোর জন্য শারীরিকভাবে তাঁর কাছে যেতে হবে এমনটা নয়, নিজের পবিত্র ভাবনার মাধ্যমেও ঈশ্বরকে উপলব্ধি করা যায়।'
মাসিক ঋতুস্রাব শারীরিক প্রক্রিয়া
প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, 'শাস্ত্রে এটাও উল্লেখ রয়েছে ঋতুস্রাবের সময় প্রথম তিনদিন মহিলাদের ভগবানের প্রসাদ তৈরি করা উচিত নয়। যে সব মহিলা সাংসারিক জীবনে রয়েছেন, তাঁদের এই সময় দিয়ে মাসে একবার যেতেই হয়। শাস্ত্র অনুসারে, এই তিনদিন মহিলাদের একদম বিশ্রমে থাকা দরকার আর ধার্মিক কাজ এই সময় একেবারেই করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ভগবানের নাম জপ করুন।' শেষে, প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন যে, ঋতুস্রাবের সময়, মহিলা এবং বোনেদের তিন দিন ধরে সর্বান্তকরণে ঠাকুরজির নাম জপ করা, ঈশ্বরের স্তোত্র গাওয়া এবং তাঁর উপাসনার মধ্যে থাকা উচিত। কোনও অবস্থাতেই ভগবানের নাম জপ থেকে এই সময় দূরে থাকবেন না, জানিয়েছেন প্রেমানন্দ মহারাজ।