ভগবানের মূর্তি কেনার সময় কি নিজের পছন্দ অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়াটা ঠিক? কিংবা তার থেকেও বড় প্রশ্ন, সেই সময় কি দরাদরি করা উচিত? সম্প্রতি এক ভক্তের এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ। তাঁর বক্তব্য ভক্তদের মনে ভক্তিভাব জাগিয়ে তুলেছে। প্রেমানন্দ মহারাজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, মূর্তি কেনার সময় নিজের পছন্দের দিকে নজর দেওয়া ভুল নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মূর্তিকে পূজার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে, মূর্তি একবার ঘরে আসার পর, অন্য কারও মূর্তির সঙ্গে তুলনা করা বা নিজের ভগবানের মূর্তিকে তুচ্ছ ভাবা অনুচিত।
মূর্তির দামে দরাদরি নয়
মহারাজ বলেন, 'টাকা দেওয়ার সময় মনে রাখা উচিত, আমরা ভগবানকে অর্পণ করছি। সেখানে দরাদরির কোনও জায়গা নেই। যদি কারও কাছে ৪৫ হাজার টাকা দাম বলা হয়, তবে সেটা কমিয়ে ৪০ হাজার বলা উচিত নয়। বরং যদি কারও কাছে মাত্র ৪ হাজার থাকে, তবে সৎভাবে বলতে হবে আমার কাছে এইটুকুই আছে, দয়া করে গ্রহণ করুন। কিন্তু দরাদরির মনোভাব থাকা একেবারেই অনুচিত।'
ভগবানের মূর্তির কোনও দাম হয় না
ভক্তরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি কোনও নির্মাতা বেশি দাম দাবি করেন তবে কী করবেন? এর জবাবে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, 'এটা কখনও সম্ভব নয়। যদি মূর্তির প্রকৃত দাম ৪৫ হাজার হয়, তবে নির্মাতার সাধ্য নেই যে তিনি এক লক্ষ দাবি করবেন। কারণ ভগবান নিজেই তাঁর মধ্যে বিরাজমান। যে দাম বলা হবে, সেটাই যথাযথ। ভগবানের মূর্তির আসলে কোনও দাম হয় না। যিনি মূর্তি গড়েছেন, তাঁর শ্রম আর ভক্তিভাব অমূল্য। তাই যতটা তিনি দাবি করবেন, ততটাই ভক্তের উচিত অর্পণ করা।'
ভক্তদের উদ্দেশে মহারাজের বার্তা স্পষ্ট ভগবানের মূর্তিকে কেনাবেচার বস্তু মনে করলে ভুল হবে। সেটি ভক্তির প্রতীক, আর ভগবানের সামনে অর্পণ মানেই সর্বান্তকরণে সমর্পণ।