প্রেমানন্দজী মহারাজের টিপস মনে রাখুন।Premanand Maharaj News: প্রেমানন্দ জি মহারাজ কঠিন কথাকেই সহজ ভাষায় বলেন। আর সেই কারণেই সাধারণ দরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে বিরাট কোহলির মতো তারকাও তাঁর অনুরাগী। আধুনিক সমাজে মানুষ এক প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে জড়িয়ে পড়ছে। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রাখাটাই যেন এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া টাকাপয়সার টেনশন তো আছেই। এর ফলে অনেকেই মানসিক চাপে বা হতাশায় ভুগছেন। তার প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যেও। এই নিয়েই কিছু সহজ উপায় বললেন বৃন্দাবনের প্রেমানন্দ জি মহারাজ। ভক্তদের জীবনকে সুন্দর করতে এমনিতেই নিয়মিত উপদেশ দেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে প্রেমানন্দ মহারাজজি এক বছরের মধ্যে জীবন পাল্টে দেওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ দেন।
‘এক বছরের মধ্যেই বদল আনুন’
এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে প্রেমানন্দ জি মহারাজ বলেন, 'চেষ্টা করে দেখুন। এক বছরের মধ্যেই আপনার জীবন বদলে যাবে। আধ্যাত্মিক শক্তি বাড়াতে নাম জপ করুন। আর শারীরিক শক্তি বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। কম তেল মশলাদার ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে আপনার সহ্যশক্তি বাড়বে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই শক্তিশালী হবেন। এই সামান্যটুকু করলেই এক বছরের মধ্যে আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।'
বৃন্দাবনের মহারাজ
প্রেমানন্দ জি মহারাজ বর্তমানে বৃন্দাবনের কেলিকুঞ্জে থাকেন। সেখানেF তিনি নিয়মিত আধ্যাত্মিক বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে পথ দেখান। ভক্তরা নানান প্রশ্ন নিয়ে তাঁর কাছে আসেন। তিনি সহজ ভাষায় উত্তর দেন। তাঁর উপদেশে সর্বদা রাধারাণী ভক্তির কথা উঠে আসে। তবে ঈশ্বর আরাধনার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়া ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রেমানন্দ জি মহারাজের সেই শিক্ষার টানেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসেন। বহু ক্রীড়াবিদ ও বলিউড সেলিব্রিটিও তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
ভাগ্য পরিবর্তন বলে কিছু হয়?
সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতে এক ভক্ত মহারাজকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'ভাগ্য পরিবর্তন করা কি সম্ভব?' উত্তরে প্রেমানন্দ জি মহারাজ বলেন, 'ভাগ্য অবশ্যই বদলানো যায়। তবে সেটা সৎ কর্ম, তীর্থযাত্রা, নাম জপ আর দান ধ্যানের মাধ্যমেই সম্ভব। যদি এগুলো না করেন, শুধু শারীরিক পরিশ্রম দিয়েই ভাগ্য পাল্টানো যায় না। শুভ কর্মই সৌভাগ্য গড়ে তোলে। অতীত জীবনের খারাপ কর্ম মুছে যায়। উন্নতির পথ খুলে যায়।'
প্রেমানন্দের জীবন
সন্ত শ্রী হিত প্রেমানন্দ মূলত কানপুর জেলার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম শম্ভু পাণ্ডে, মাতার নাম রাম দেবী। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু হলেন শ্রী গৌরাঙ্গী শরণ জি মহারাজ।
প্রেমানন্দ মহারাজের আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয় ছোটবেলায়। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তিনি ভগবদ্গীতা পাঠ করতে শুরু করেন। খুব অল্প বয়সে তিনি কাশীতে চলে যান। পরে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।