Saint Premananda Maharaj: জীবন মৃত্যু নিয়ে বড় কথা বললেন প্রেমানন্দ মহারাজ।সকালকে সবচেয়ে পবিত্র এবং প্রাণবন্ত মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমাদের ধর্মগ্রন্থ, পুরাণ এবং সাধু-সন্তরা সর্বদা বলে এসেছেন যে, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যোদয়ের সময় ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবকে প্রণাম করে, সে ইতিবাচক থাকে এবং সাফল্য পায়। সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, ভোরে ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবের উপাসনা করা কেবল আধ্যাত্মিকভাবে উপকারীই নয়, বরং আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও এর গভীর প্রভাব পড়ে।
প্রেমানন্দ মহারাজ সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, যারা দেরি করে ঘুমায় এবং সূর্যদেবকে প্রণাম করে না, তারা ধীরে ধীরে জীবনের অনেক প্রাকৃতিক ও মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের রশ্মি আমাদের শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে, রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং মনকে প্রফুল্ল করে। কিন্তু যখন আমরা এই সময়ে ঘুমিয়ে থাকি, তখন প্রকৃতির এই আশীর্বাদ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। প্রেমানন্দের মতে, দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস একজন ব্যক্তির জীবন থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কেড়ে নেয়।
প্রথমে, মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ম্লান হতে শুরু করে। সকালের ঠান্ডা বাতাস এবং সূর্যের প্রথম রশ্মি শরীরের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে, মুখকে এক অনন্য উজ্জ্বলতা দেয়। তবে, যারা দেরি করে ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে এই প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, শরীরের আকর্ষণ এবং সতেজতা ম্লান হতে শুরু করে। যে ব্যক্তি সময়মতো ঘুম থেকে ওঠে না, তার অলসতা, ভারী ভাব এবং ক্লান্তি অনুভব হয়। এটি কেবল শরীরের ভারসাম্যই ব্যাহত করে না বরং মনকে বিষণ্ণ ও অস্থির করে তোলে।
তৃতীয়ত, আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা হ্রাস পায়। যে ব্যক্তি দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন, তিনি প্রায়শই সারাদিন তাড়াহুড়ো করেন, সময়মতো কাজ শেষ করতে পারেন না এবং ধীরে ধীরে তাদের চিন্তাভাবনা ও কাজ করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।