Puja Bhog Importance Niyam and Mantra: হিন্দু ধর্মে পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমস্ত হিন্দু পরিবারে দেবদেবীদের নিয়মিত পুজো করা হয়। ধর্মগ্রন্থেও উপাসনার অনেক পদ্ধতি ও নিয়ম বর্ণিত আছে। এর মধ্যে একটি হল পুজোয় ভগবানকে ভোগ নিবেদন করা। ৫৬টি ভোগ থেকে মিশ্রী পর্যন্ত অনেক ধরনের ভোগ ভগবানকে নিবেদন করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় পুজোর সময় করা ভুলের কারণে ভগবান ক্রুদ্ধ হন। এর কারণে পুজো সম্পূর্ণ বলে গণ্য হয় না। অন্যান্য উপাসনা পদ্ধতির মতো ভোগ নিবেদনেরও কিছু নিয়ম আছে, যা মেনে চলা আবশ্যক, তবেই পুজোর ফল পাওয়া যায়। পুজো করার সময় প্রসাদ এবং তার পরে সেখানেই অনেকে ভোগ রেখে দেন, যা করা উচিত নয়। জেনে নিন পুজোয় ভগবানকে প্রসাদ দেওয়ার নিয়ম ও গুরুত্ব সম্পর্কে।
পুজোর পর মূর্তির সামনে প্রসাদ রেখে যাবেন না-
পুজোয় প্রসাদ বা ভোগ নিবেদনের পর ভুল করেও ভোগ সেখানে ফেলে রাখবেন না। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। প্রসাদ ছেড়ে রাখলে বিশ্বক্ষেণ, চন্দেশ্বর, চন্দাংশু এবং চণ্ডালীর মতো নেতিবাচক শক্তি আসে। শাস্ত্রে বলা আছে, পুজো শেষ হলে ভগবানের কাছ থেকে প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে এবং ভক্তি সহকারে তা গ্রহণ করতে হবে।
এতে শুধু পুজোর ফল পাওয়া যায় না, এইভাবে প্রসাদ গ্রহণ করলে ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা দেখা যায়। এভাবে ভোগ নিবেদন ও গ্রহণ করলে দেব-দেবীরাও খুশি হন এবং বর দেন।
পুজোয় প্রসাদ দেওয়ার নিয়ম
- ভোগ বা প্রসাদ মাটিতে কখনওই দেওয়া উচিত নয়।
- সর্বদা শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস নিবেদন করা উচিত।
- পিতল বা রুপো ইত্যাদি ধাতুর তৈরি পাত্রে প্রসাদ নিবেদন করা উচিত।
- প্রসাদ নিবেদনের পর কাছে জল রাখুন।
- ভগবানকে ভোগ নিবেদন করার সময়, 'তবাদিয়ান বাস্তু গোবিন্দ তুভ্যমেব সমর্পায়ে' মন্ত্র জপ করুন।
- গৃহ সম্মুখে ভূত প্রসিদ পরমেশ্বর।' এই মন্ত্রটি অবশ্যই জপ করতে হবে।
- ভোগ প্রসাদে নুন ও লঙ্কা যেন না থাকে।
- রসুন এবং পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি খাবার কখনই ভগবানকে নিবেদন করবেন না।
- নিয়মিত পুজোয় নিবেদনের জন্য ফল ও মিষ্টি সবচেয়ে ভাল বলে বিবেচিত হয়।