Rahu Ketu Upay: চৈত্র নবরাত্রি ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ৩০ মার্চ শেষ হবে। নবরাত্রির সময় মা দুর্গার আরাধনা করা শুধুমাত্র ৯টি গ্রহকেই শান্ত করে না বরং তাদের অশুভ প্রভাবও দূর করে। রাহু ও কেতু যদি রাশিতে অশুভ হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আর্থিক সীমাবদ্ধতা, কর্মজীবনে ব্যর্থতা এবং প্রেমের অভাব সহ অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এমন কিছু প্রতিকার আছে, যা করলে শুধু নবগ্রহরা শান্ত হবে না, সব সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
মা চন্দ্রঘন্টা ও ব্রহ্মচারিণীর পুজো
যদি কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠীতে রাহু দোষ থাকে তবে তার পূর্ণ আচারের সাথে মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা উচিত। কেতুর সমস্যায় ভুগলে মা চন্দ্রঘন্টার পুজো করুন। নবরাত্রির সময় এই দেবীর পূজা করলে আপনি এই দুটি অশুভ গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
চন্দন গুঁড়ো
স্নানের জলে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে স্নান করলে কোষ্ঠীতে রাহুর দোষ দূর হবে। নবরাত্রি থেকে এই প্রতিকারগুলি শুরু করুন এবং নিয়মিত ৩ মাস করলে উপকার পাবেন এবং সমস্ত সমস্যা দূর হবে।
হনুমানজির পুজো
নবরাত্রির সময় মা দুর্গার সাথে হনুমানজি এবং ভগবান শঙ্করের পুজো করলেও রাহু এবং কেতু বিরক্ত করবে না। নবরাত্রির সময় প্রতিদিন শিব সহস্ত্রনাম ও হনুমান সহস্ত্রনাম পাঠ করলে কোষ্ঠীতে রাহু-কেতুর নেতিবাচক প্রভাব শেষ হবে।
এই জিনিস বাড়িতে আনুন
আপনি যদি রাহুর দোষ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে নবরাত্রির সময় একটি শক্ত রূপার হাতি কিনুন। পুজোর ঘরে বা ভল্টে তা রাখতে পারেন। এটি করলে এবং প্রতিদিন এটি দেখলে, কোষ্ঠীতে রাহুর খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করে এবং আপনি আপনার কর্মজীবনে উন্নতি লাভ করেন।
দুর্গা সপ্তসতীর পাঠ করুন
নবরাত্রির ৯ দিনে দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করলে রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব কম হয়। দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করা শুধুমাত্র দেবী মাকে প্রসন্ন করে না, এই দুটি অশুভ গ্রহের অশুভ নজর থেকে রক্ষা মেলে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)