হিন্দুদের (Hindu) একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব 'রাম নবমী' (Ram Navami)। অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রাণী কৌশল্যা সন্তান রামের জন্মদিন উদযাপন করা হয় এদিন। রাম (Lord Ram), ভগবান বিষ্ণুর (Lord Vishnu) সপ্তম অবতার হিসাবে বিবেচিত। হিন্দু ক্যালেন্ডারের চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষের নবমীর দিন এই বিশেষ উৎসবটি পালিত হয়। যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে সাধারণত প্রতি বছর মার্চ বা এপ্রিল মাসে পড়ে। এই বছর রাম নবমী পালিত হবে ২১ এপ্রিল।
রাম নবমীর সময়
এই বছর রাম নবমী মধ্যাহ্ন মুহূর্ত সকাল ১১.০২ থেকে শুরু করে বেলা ১.৩৮ টা পর্যন্ত থাকবে। নবমী তিথি শুরু হবে ২১ এপ্রিল দুপুর ১২.৪৩ নাগাদ এবং থাকবে ২২ এপ্রিল দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত।
বিশ্বাস করা হয় যে মধ্যাহ্নেই জন্ম হয়েছিল ভগবান রামের। আর রাম নবমীর পুজো করার জন্য এটাই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়। দিনের এই সময়েই মূলত জপ এবং বিশেষ পুজো করা হয়।
রাম নবমীর পুজোর নিয়ম
* রাম নবমী উপলক্ষে অষ্ট প্রহর উপবাসের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, যার সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অষ্ট প্রহর উপবাস করলে তা খুব শুভ।
* ভগবান রামের একটি প্রতিমার সামনে ধ্যান দিয়ে পুজো শুরু হয়। এরপর বেশ কয়েকটি মন্ত্র জপ হয়। ভগবান রামকে আহ্বান করার পরে, তালুর মাঝে পাঁচটি ফুল নেওয়া হয় এবং একটি বিশেষ মন্ত্র জপ করা হয়। তারপরে তাঁকে ফুল উৎসর্গ করা হয়। এর পরে ভগবান রামের মূর্তির সামনে জল রাখা হয়।
* এবারে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ভগবান রামকে মধু এবং দুধ দেওয়া উৎসর্গ করে,স্নানের জন্য জল দেওয়া হয়। এরপরে, তাঁকে নতুন পোশাক, সুগন্ধি এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। শেষে নৈবেদ্য, ফল, পান, সুপারি এবং দক্ষিণা দেওয়া হয়। সব শেষে আরতি করা হয়।
আরও পড়ুন: ভক্তি ভরে দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করলে গৃহে অন্নাভাব হয় না!
রাম নবমী উপলক্ষে হিন্দুদের মহাতীর্থস্থান ভবানীপুর, বগুড়া, বাংলাদেশে ভক্ত সমাগম হয় এবং মেলা বসে। এছাড়া অযোধ্যার রাম মন্দির, বিহারের সিতামারহি মন্দির, তেলেঙ্গানার ভাদ্রাচালাম মন্দির ছাড়াও আরও অনেক জায়গায় বিশেষ পুজো ও উদযাপন হয়।