scorecardresearch
 

Ranna Pujo- Arandhan 2022: ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া! কেন হয় রান্না পুজো? জানুন খুঁটিনাটি

Ranna Pujo- Arandhan 2022 Rituals: ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া এই নিয়মই অরন্ধন উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য। মনসা পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ এই অরন্ধন উৎসব।

Advertisement
বাঙালিদের ঐতিহ্যপূর্ণ পার্বণ হল রান্না পুজো বা অরন্ধন (ছবি: ইনস্টাগ্রাম) বাঙালিদের ঐতিহ্যপূর্ণ পার্বণ হল রান্না পুজো বা অরন্ধন (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

হিন্দুদের বারো মাসে তের পার্বণ (Bengali Festivals)। যার মধ্যে একটি ঐতিহ্যপূর্ণ পার্বণ হল রান্না পুজো (Ranna Pujo 2022) বা অরন্ধন (Arandhan)। ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া এই নিয়মই অরন্ধন উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য। মনসা পুজোর (Manaha Pujo) অবিচ্ছেদ্য অংশ এই অরন্ধন উৎসব। হেঁশেলের একস্থানে পরিষ্কার করে ফণিমনসা কিংবা শালুক গাছের ডাল সাজিয়ে মনসার ঘট সাজিয়ে বিশেষ পুজো করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) আগের দিন প্রায় সারা রাত জুড়ে চলে রান্নাবান্নার চরম ব্যস্ততা। 

রান্না পুজো বা অরন্ধন ২০২২ কবে? 

বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে হয় রান্না পুজো। সাধারণত ১৭ সেপ্টেম্বর পড়ে বিশ্বকর্মা পুজো। এবারও এদিনই পড়েছে দেবশিল্পীর পুজো। তাই ১৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার হবে রান্না পুজো।  

 

Ranna Pujo 2022 date in west bengal Arandhan puja Rituals

বছরে দু'বার হয় অরন্ধন উৎসব

বছরে দু'বার অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। একটি, মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতলষষ্ঠীতে শিলনোড়া পুজোর দিন। আরেকটি, ভাদ্র সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। অনেকে আবার উনুন পুজো বা গৃহ দেবতার পুজো হিসাবে মনে করেন এই উৎসবকে। এই দু'দিন বাড়িতে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রান্না করে সেই বাসি খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে অরন্ধনে। 

 

Ranna Pujo 2022 date in west bengal Arandhan puja Rituals

স্থানভেদে ভিন্ন রূপে পূজিত হন দেবী মনসা

গোত্র ও অঞ্চলের তারতম্যে বিভিন্ন নিয়ম দেখা যায় এই উৎসবে। দেবী বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন রূপে পূজিত হন এদিন। কিছু স্থানে দেবী মনসাকে উৎসর্গ করা হয় মরসুমের সেরা শাক- সবজি, মাছ। তবে অনেকে মনসার প্রতিমা বানিয়ে পুজোর করেন। আবার অনেকে পঞ্চ সর্পের ফণাযুক্ত প্রতিমার পুজো করেন। কেউ কেউ ফণিমনসা গাছের ডাল রেখে পুজো করেন। 

Advertisement

আরও পড়ুন: পুজোর মরসুমে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন বোঁদে! রইল একেবারে সহজ রেসিপি

 

Ranna Pujo 2022 date in west bengal Arandhan puja Rituals

কেন হয় রান্না পুজো? 

সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাত থাকে অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে সারা রাত জেগে গৃহস্থ বাড়িতে অরন্ধন পার্বণ হয়। দেবীপক্ষের আগে রান্না পুজোই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর যা হবে, উৎসব তা সবই হবে মহালয়ার পরে, সুপর্বে। দেবী দুর্গার মর্তে আগমনের পর আবার উৎসবমুখী হয় বাঙালি, তাই দেবীর অপর নাম 'সুপর্বা'। 

আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী, জানুন দুর্গা পুজোর নির্ঘণ্ট, তাৎপর্য ও নিয়মকানুন

 

Ranna Pujo 2022 date in west bengal Arandhan puja Rituals

রান্না পুজোর রীতিনীতি 

রান্না পুজোর পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোয় মূলত বাসি খাবার খাওয়ার রীতি। যার মধ্যে পান্তা উল্লেখযোগ্য। অনেক বাড়িতে আমিষ রান্না পুজো হয়, তো কোথাও আবার এই পার্বণ একেবারে নিরামিষ হয়। আমিষের মধ্যে ইলিশ -চিংড়ি মাছ অন্যতম। এছাড়াও আরও ভিন্ন ধরণের মাছ থাকে সেই তালিকায়। নিরামিষ পদের  মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমারি ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক, পান্তা ভাট, মুগ ও খেসারির ডাল, চালতা- গুড় দিয়ে চাটনি, তালের বড়া, মালপোয়া ইত্যাদি। 

আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে বাড়িতে বানিয়ে নিন রসগোল্লা! জানুন সহজ রেসিপি...

বর্তমানে উৎসবের এই মেজাজ ও রীতিনীতি অনেকটা শিথিল হয়েছে কর্ম ব্যস্ততার জন্য। তবে শহরে কম হলেও, গ্রামাঞ্চল বা শহরতলিতে এখনও এই পার্বণ ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। তবে রান্না পুজো মূলত পশ্চিমবাংলার লোকেরা আদী বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা পালন করেন। এটি পূর্ববঙ্গীয়দের রীতি নয়। 

 

Advertisement