হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা হাতের রেখা পড়ে ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। তবে অনেকেরই অজানা, একজন ব্যক্তির মুখের আকৃতি বা গঠন তার ভাগ্যের রহস্য প্রকাশ করতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্রে একে সামুদ্রিক শাস্ত্র (Samudrik Shastra) বলা হয়, যেখানে মুখের চেহারা দেখে ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ বলা হয়। এমনকী একজন ব্যক্তির ভ্রুয়ের (Eyebrows) আকৃতি, রং ইত্যাদির মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলা সম্ভব। এছাড়াও,আপনি ভ্রু দেখে একজন ব্যক্তির আর্থিক অবস্থাও জানতে পারেন। প্রতিটি মানুষের ভ্রুয়ের আকৃতির আলাদা হয় এবং এর অর্থও আলাদা রয়েছে।
* ভ্রুয়ের মধ্যে দূরত্ব
কিছু মানুষের ভ্রুয়ের মধ্যে অনেকটা ব্যবধান থাকে এবং তাদের ভ্রু সমতল হয়। সমুদ্রশাস্ত্র বলছে যে, এই ধরনের ব্যক্তিরা স্বভাবগতভাবে কথাবার্তা বলে। এছাড়াও তারা খুব আবেগপ্রবণ হয়। এই ধরনের লোকেরা অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ক্ষতি করতে পারে।
* পুরু বা মোটা ভ্রু
যাদের ভ্রু মোটা, এই ধরনের লোকেরা খুব রাগী হয়। এর পাশাপাশি তারা খুব ধূর্তও হন। এই ধরনের লোকদের অর্থের প্রতি প্রচুর লোভ থাকে এবং যে কোনও উপায়ে বেশি অর্থ উপার্জনে তারা বিশ্বাসী। তাদের সম্পদ এবং কৃতিত্ব নিয়ে খুব গর্ব অনুভব করে সব সময়।
* ছোট ভ্রু
যাদের ভ্রু দেখতে ছোট কিন্তু মোটা। তারা খুবই ক্ষুব্ধ প্রকৃতির। সমুদ্রবিজ্ঞান বলে যে, এই ধরনের লোকেদের ধৈর্য একেবারেই নেই। তাই তারা জীবনে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
* চাঁদ আকৃতির ভ্রু
অনেক মহিলার ভ্রু চাঁদের মতো হয় এবং উভয় ভ্রু একে অপরের কাছাকাছি না থাকে। সমুদ্রবিজ্ঞান অনুসারে, এই ধরনের মহিলারা খুব ভাগ্যবান। এ ধরনের নারীরা পরিবার ও সমাজে অনেক সম্মান পান। তাদের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর। স্বামীও খুব খুশি এবং সম্মানিত বোধ করেন, তাদের সঙ্গী হিসাবে পেয়ে।
* 'V' আকৃতির ভ্রু
যাদের ভ্রু ভি আকৃতির, তারা সফল ব্যবসায়ী। সমুদ্রশাস্ত্র বলে যে, এই ধরনের মানুষ অন্যকে দ্রুত বিশ্বাস করে না।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)