শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মনে করা হয়। শনিদেব সকলকে তাঁদের কর্ম অনুযায়ী ফল প্রদান করে থাকেন। যে ভাল কাজ করেন তাকে শুভ ফল দিয়ে থাকেন, যে খারাপ কাজ করে থাকেন তার ওপর শনিদেবের খারাপ নজর পড়ে যায়। শনিদেব যদি প্রসন্ন হন তবে ব্যক্তিকে ফকির থেকে রাজা বানিয়ে দিতে পারেন আবার যদি কারোর ওপর রুষ্ট হন তবে তাঁকে রাজা থেকে ফকির বানিয়ে দিতে এতটুকু সময় নেন না। মানুষ বরাবর শনি দেবের ব্যাপারে জানতে চান। শনিদেবের পরিবার, তাঁর মা-বাবা, স্ত্রীর বিষয়ে। আসুন জেনে নিই শনিদেব মহারাজের স্ত্রীর বিষয়ে।
শনিদেবের কৃপা পাওয়ার জন্য শনিদেবের স্ত্রীয়ের নাম নিয়ে মন্ত্র জপ করা উচিত। এরকম করলে শনিদেব প্রসন্ন হন।
শনিদেব মহারাজ সূর্যের পুত্র, শনিদেবের বিয়ে হয়েছিল চিত্ররথের মেয়ের সঙ্গে। শনিদেবের স্ত্রী পরম সতী-সাধ্বী ও তেজস্বী মহিলা ছিলেন। কিন্তু শনিদেবের স্ত্রী তাঁর স্বামী শনিদেবকেই অভিশাপ দেন। যে শাপের কারণে শনিদেব মাথা নীচু করে চলেন।
শনিদেবের স্ত্রীয়ের একবার সন্তান প্রাপ্তির ইচ্ছা জেগেছিল। এটা নিয়ে কথা বলার জন্য শনিদেবের স্ত্রী শনিদেবের কাছে গেলেন, এই সময় শনিদেব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তিতে বিলিন হয়েছিলেন। স্ত্রীর শত চেষ্টার পরও তাঁর ধ্যান ভঙ্গ হয় না। এতে শনিদেবের স্ত্রী বিশাল রুষ্ট হন এবং তিনি এতটাই রেগে ছিলেন যে তিনি শনিদেবকে অভিশাপ দিয়ে দেন। অভিশাপ দিতে গিয়ে শনিদেবের স্ত্রী বলেন যে আজ থেকে যে ব্যক্তির ওপর শনিদেবের খারাপ নজর পড়বে ওই ব্যক্তির সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান থেকে ওঠার পর শনিদেব উপলব্ধি করেন গোটা বিষয়টি। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর ও রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করেন, ক্ষমা চান। কিন্তু শনিদেবের স্ত্রীর কাছে এই অভিশাপ কাটানোর কোনও উপায় ছিল না। এরপর থেকেই শনিদেব তাঁর মাথা নীচু করে চলেন এবং শনিদেবের কুনজর যার ওপর পড়ে তাঁর জীবন তছনছ হয়ে যায়।