সনাতন ধর্মে লাল সুতো অত্যন্ত পবিত্র। যে কোনও ধর্মীয় কাজের পর লাল সুতো হাতে বাঁধা রীতি। মন্দিরে পুজো দিতে গেলে হাতে বেঁধে দেওয়া হয় লাল সুতো। এই লাল সুতো শুভ বলে করা হয়। বিপদ-আপদ থেকে তা রক্ষা করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে লাল সুতো পরার বিবিধ উপকারের কথাও বলা হয়েছে। তবে এটাও বলা হয়েছে, সবার ক্ষেত্রে লাল সুতো শুভ হয় না। এমন অনেক রাশির মানুষ রয়েছেন যাঁদের লাল সুতো পরা উচিৎ নয়।
লাল সুতোয় কী কী লাভ?
সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, হাতে লাল সুতো পরলে দেবী লক্ষ্মী খুশি হন। মেলে বজরংবলির কৃপাও। হাতে লাল সুতো বেঁধে রাখলে কোষ্ঠীতে শক্তিশালী হয় মঙ্গল গ্রহ। আর্থিক লাভেরও সম্ভাবনা থাকে। লোকবিশ্বাস,লাল সুতো পরলে শরীরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ থাকে। জীবন সুখে ভরে ওঠে। মনে থাকে আত্মবিশ্বাস।
কাদের লাল সুতো পরা উচিৎ নয়?
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, সবাই চাইলেই লাল সুতো পরতে পারেন না। শনিদেব লাল রং পছন্দ করেন না। এটা তাঁর অপছন্দের। এ কারণে শনিবারে কালো তিল দান করা হয়। শনিদেব কুম্ভ ও মীন রাশির অধিপতি। এই অবস্থায় দুই রাশির মানুষদের হাতে লাল রঙের সুতো পরা থাকলে অশুভ ফল মেলে। রুষ্ট হন শনিদেব। তাঁদের নীল সুতো বাঁধা উচিৎ।
কারা লাল সুতো পরতে পারেন?
বৃশ্চিক, সিংহ ও মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা লাল সুতো হাতে বাঁধতে পারেন। তাঁরা লাল সুতো বেঁধে রাখলে হনুমানজির আশীর্বাদ পান। তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
বৈজ্ঞানিক কারণ কী?
কব্জিতে লাল সুতো বাঁধার বৈজ্ঞানিক কারণও বলা হয়েছে। এটি রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন- এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা বৃহস্পতির প্রিয়, ভাগ্য় থাকে তুঙ্গে