শনির নক্ষত্রে জন্মানো মহিলারা হন ভীষণ লাকিশনির তিনটি প্রধান নক্ষত্র হল পুষ্য, অনুরাধা এবং উত্তরভাদ্রপদ। এর মধ্যে পুষ্যকে অত্যন্ত শুভ এবং পবিত্র বলে মনে করা হয়, অন্যদিকে অনুরাধাকে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষ মতে, শনির নক্ষত্রগুলি ব্যক্তির কর্ম, পেশাদার মনোভাব এবং মেজাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। আসুন এই তিনটি নক্ষত্রের অধীনে জন্মগ্রহণকারীদের আচরণ এবং ভাগ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্য নক্ষত্র
এই নক্ষত্রটি সম্পূর্ণরূপে কর্কট রাশির মধ্যে অবস্থিত। এটিকে নক্ষত্রের মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র এবং শুভ বলে মনে করা হয়। এই নক্ষত্রের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিকভাবে আগ্রহী। তাদের অগ্রগতি এবং বিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে। তারা প্রতিকূলতা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করে। তবে, তাদের মধ্যে কখনও কখনও ঈর্ষা বা স্বার্থপরতার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তিদের সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত।
অনুরাধা নক্ষত্র
অনুরাধা বৃশ্চিক রাশির মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এটিকে সফলতা এবং সাফল্যের নক্ষত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নক্ষত্রের অধীনে জন্মগ্রহণকারীরা সাহসী, উদ্যমী এবং প্রভাবশালী হন। তারা প্রায়শই বাড়ি এবং পরিবার থেকে দূরে বা বিদেশে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেন। তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষমতা। তাদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি তাদের জীবনে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি করতে সাহায্য করে। তবে, তারা কখনও কখনও অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে এবং তাদের সাফল্যে সহজে সন্তুষ্ট হয় না।
উত্তরাভাদ্রপদ
এই নক্ষত্রটি মীন রাশির অন্তর্গত এবং এর মধ্যে অগ্নির মতো শক্তি সক্রিয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এটিকে শক্তির নক্ষত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই নক্ষত্রের অধীনে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা করুণাময়, সমৃদ্ধ এবং প্রফুল্ল হন। তাদের অসাধারণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা এবং প্রজ্ঞা রয়েছে। জ্যোতিষীরা বলেন যে এই নক্ষত্রের অধীনে জন্মগ্রহণকারী মহিলারা দেবী লক্ষ্মীর মতো গুণাবলী প্রদর্শন করেন। তবে, তারা কখনও কখনও রাগ, অলসতা এবং অসাবধানতার প্রবণতা দেখাতে পারেন।