Swastik Sign: স্বস্তিক চিহ্ন হিন্দু ধর্মে পবিত্র কেন? জানুন কীভাবে আঁকা শুভ

Swastik Sign Lucky: বিয়ে বা শুভ কাজ শুরু করা মুহূর্তে বা পুজোর সময় মঙ্গলঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হিন্দুধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। হিন্দু ধর্মে স্বস্তিক চিহ্নকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।  

Advertisement
স্বস্তিক চিহ্ন হিন্দু ধর্মে পবিত্র কেন?  জানুন কীভাবে আঁকা শুভ

স্বস্তিকা হল একটি প্রাচীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতীক। এটি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্ম সহ ভারতীয় ধর্মে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। বিয়ে বা শুভ কাজ শুরু করা মুহূর্তে বা পুজোর সময় মঙ্গলঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হিন্দুধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। হিন্দু ধর্মে স্বস্তিক চিহ্নকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।  

বেদে স্বস্তিককে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণকারী এবং অমরত্ব প্রদানকারী বলা হয়েছে। বৈদিক ঋষিরা তাদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু বিশেষ প্রতীক তৈরি করেছেন। স্বস্তিক এই প্রতীকগুলির মধ্যে একটি। স্বস্তিকের চারটি লাইনকে চারটি বেদ, চারটি পুরুষার্থ, চারটি আশ্রম, চারটি লোক এবং চারটি দেবতা অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ এবং গণেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। স্বস্তিককে সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 

স্বস্তিকের গুরুত্ব

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্বস্তিক গুরুত্বপূর্ণ। স্বস্তিক অর্থ- কল্যাণ বা শুভ। স্বস্তিক একটি বিশেষ আকৃতি। কোনও শুভ বা শুভ কাজের আগে স্বস্তিক তৈরি করা হয়। এটিকে ভগবান গণেশের রূপও মনে করা হয়। এর ব্যবহার সমৃদ্ধি, সম্পদ এবং একাগ্রতা বাড়ে। যে পুজোয় স্বস্তিক ব্যবহার করা হয় না, সেই পুজো বেশিদিন তার প্রভাব রাখতে পারে না।

স্বস্তিক কেন বিশেষ?

স্বস্তিককে মহাবিশ্বের প্রতীক মনে করা হয়। এর কেন্দ্রীয় অংশটি বিষ্ণুর নাভি এবং চারটি রেখাকে ব্রহ্মার চারটি মুখ, চারটি হাত এবং চারটি বেদ বলে মনে করা হয়। স্বস্তিকের চারটি বিন্দু চারটি দিক নির্দেশ করে। স্বস্তিককে বিষ্ণুর আসন এবং লক্ষ্মীর রূপ মনে করা হয়। স্বস্তিকের প্রতীককে ভাগ্যবান বস্তু বলে মনে করা হয়। চন্দন, কুমকুম এবং সিঁদুর দিয়ে তৈরি স্বস্তিক গ্রহের দোষ দূর করতে পারে।

স্বস্তিক, শুভ ও কল্যাণের প্রতীক

স্বস্তিক শব্দটিকে সু ও অস্তির সংমিশ্রণ বলে মনে করা হয়। সু মানে শুভ আর অস্তি মানে হওয়া। যার অর্থ, এটি শুভ হওয়া উচিত। ভারতীয় সংস্কৃতিতে, স্বস্তিককে একটি শুভ প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই কোনও শুভ কাজ করার আগে স্বস্তিকের প্রতীক তৈরি করে পুজো করা হয়।

Advertisement

স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার সঠিক নিয়ম

স্বস্তিকের রেখা এবং কোণগুলি একেবারে সঠিক হওয়া উচিত। ভুল করেও উল্টানো স্বস্তিক তৈরি করবেন না এবং ব্যবহার করবেন না। লাল ও হলুদ রঙের স্বস্তিক সবচেয়ে ভাল। আপনি যদি স্বস্তিক পরতে চান তবে এটি তার বৃত্তের মধ্যে পরুন।

মূল দরজায় স্বস্তিক 

লাল এবং নীল রঙের স্বস্তিক বিশেষভাবে কার্যকর বলে মনে করা হয়। প্রধান দরজার দুই পাশে লাল স্বস্তিক রাখলে বাস্তু ও দিক দোষ দূর হয়। মূল দরজার মাঝখানে নীল স্বস্তিক রাখলে বাড়ির মানুষের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

 

POST A COMMENT
Advertisement