scorecardresearch
 

এই পাঁচ সহজ উপায়ে মা লক্ষ্মীকে চিরদিন ঘরে বেঁধে রাখুন

প্রত্যেকেরই অভিপ্সা, মা লক্ষ্মী যেন তার বাড়িতে স্থায়ী ঘর করে থাকেন। কিন্তু মা লক্ষ্মী বহু কারণে রাগান্বিত হতে পারেন। তিনি কুপিত হলে কিন্তু বিপদ। তাই এ বেলা জেনে রাখুন, লক্ষ্মী পুজোর সময় কি কি করলে মা লক্ষ্মী বাঁধা থাকবেন তাঁর ঘরে।

লক্ষ্মী আসুক ঘরে লক্ষ্মী আসুক ঘরে
হাইলাইটস
  • লক্ষ্মীকে বেঁধে রাখুন এই পাঁচ উপায়ে
  • নইলে মা লক্ষ্মী কুপিত হতে পারেন

'ঘুমিয়ে লক্ষ্মী হন বিরূপা, জাগরণে লক্ষ্মীর কৃপা। নইলে কেন জাগে কোজাগরে'। চলে এল লক্ষ্মী পুজো। আর পুজো মানেই লক্ষ্মী এল ঘরে। ঘরে যদি লক্ষ্মী আনতে হয়, তাহলে কিন্তু নিয়মরক্ষার পুজো করলে হবে না। সঙ্গে সহজ কিন্তু কয়েকটি টোটকা করতেই হবে। তাহলেই দেবী তুষ্ট হবেন। আর সেই সঙ্গে আপনার ঘরে স্থায়ী রূপে বিরাজমান হবেন। ধন, সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী। লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। দেবী লক্ষ্মী হলেন গৌরব ও খ্যাতির দেবী। যার প্রতি তিনি সদয়, তার জীবন সর্বদা ধনধান্যে পুষ্পে ভরা হয়েই তাকে।

লক্ষ্মীকে ঘরে বাঁধতে হলে মানতে হবে কিছু সহজ নিয়ম

প্রত্যেকেরই অভিপ্সা, মা লক্ষ্মী যেন তার বাড়িতে স্থায়ী ঘর করে থাকেন। কিন্তু মা লক্ষ্মী বহু কারণে রাগান্বিত হতে পারেন। তিনি কুপিত হলে কিন্তু বিপদ। যজমানের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে পারেন। তাই তাঁকে তুষ্ট রাখতে হয় বিভিন্ন উপায়ে। জেনে নেওয়া যাক, লক্ষ্মী পুজোর সময় কি কি করলে মা লক্ষ্মী বাঁধা থাকবেন তাঁর ঘরে।

১. পূর্ণিমার রাতে জেগে থাকুন

রাতে পুজো হয়ে গেলে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারারাত জেগে থাকার বিধি দেওয়া আছে ৷ ‘কোজাগর ’ শব্দের অর্থ ‘কে জেগে আছে’? পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনা করতে রাত জাগার বিধান। তাই একে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয়। এই তিথিতে সন্ধেবেলা লক্ষ্মীদেবীর পুজো করে।  রাত জেগে পাশা খেলার বিধি আছে। তবে তা জেগে থাকার সুবিধার জন্য

২. নারকেলের জল এবং চিঁড়া খান

নারকেলের জলপান এবং চিঁড়া খেতে পারলে আরও ভালো। অনেকে নারকেলের জলে চিঁড়ে ভিজিয়ে রেখে খান। তাতেও অসুবিধা নেই। মোদ্দা কথা চিঁড়ে ও নারকেলের জল খেতে হবে।

৩. পায়েস বানিয়ে চাঁদের আলোতে রাখতে হবে

মা লক্ষ্মী সকলকে যশ, খ্যাতি, সমৃদ্ধি ও প্রতিপত্তি প্রদান করেন। সুস্বাস্থ্য ও আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়, সন্ধে বেলায় চাঁদের আলোয় গোবিন্দভোগ চালের পায়েস তৈরি করে রাখুন। সারারাত একটি নেট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে সেই পায়েসের পাত্র, যাতে পোকামাকড় না পড়ে। পরের দিন ওই পায়েস বাড়ির সবাই মিলে খান। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে আর আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিও হবে।

৪. নারায়ণ পুজোও করতে হবে

স্বামীর খুশিতেই স্ত্রীর খুশি। তাই লক্ষ্মীকে বাড়তি খুশি করতে চাইলে লক্ষ্মী পুজোর একই সঙ্গে নারায়ণ পুজো করা হয়। এতে কৃপা সারা বছর পাওয়া যায়।

৫. নদীতে স্নান করুন

সম্ভব হলে এই দিন গঙ্গায় স্নান করুন। গঙ্গা থেকে দূরের বাসিন্দা হলে নিকটবর্তী নদীতে স্নান করে তাঁকে গঙ্গা বলে মনে করে ডুব দিতে হবে। এতে পুণ্য অর্জন করা যায়।

বাচ্চা মেয়েদের উপহার দিন

স্নানের পর এই দিন ছোট বাচ্চা পাঁচটি মেয়েকে তাঁদের পছন্দ মতো কিছু উপহার দিলে মা লক্ষ্মী দেবী খুবই প্রসন্ন হন।