প্রতীকী ছবি আমরা প্রায়শই নিজেদের রোজের কিছু অভ্যাস উপেক্ষা করি। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র উভয়ই জানাচ্ছে, আমাদের ক্ষুদ্রতম অভ্যাসগুলিও আমাদের জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করার সম্ভাবনা তৈরি করে। এই অভ্যাসগুলি কেবল আমাদের মেজাজ এবং চিন্তাভাবনাকেই প্রভাবিত করে তা নয়, বরং আমাদের রাশিফলের গ্রহের অবস্থানকেও প্রভাবিত করে। যখন গ্রহগুলি দুর্বল হয় তখন জীবনে অপ্রয়োজনীয় বাধা, আর্থিক ক্ষতি, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কেবল গ্রহগুলির নেতিবাচক অবস্থানই নয়, বরং আমাদের আচরণ ও দৈন্যন্দিন রুটিনও গ্রহগুলিকে দুর্বল বা শক্তিশালী করতে পারে। অতএব, ভাল অভ্যাস গ্রহণ করা এবং খারাপ অভ্যাসগুলি এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেরিতে ঘুমনো ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা (সূর্য দোষ)
সূর্যকে শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং স্বাস্থ্যের কারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাত জেগে থাকা এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা সূর্যকে দুর্বল করে। এর ফলে ক্লান্তি, আলস্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দুর্বলতা এবং কেরিয়ারে বাধার সৃষ্টি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যোদয়ের সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাঁর জীবনে ইতিবাচক শক্তি এবং সাফল্য বৃদ্ধি পায়।
ঈর্ষার অনুভূতি (রাহু দোষ)
অন্যদের প্রতি ঈর্ষা রাহুকে প্রভাবিত করে। রাহুল কলঙ্কিত হলে বিভ্রান্তি, চাপ, মানসিক অস্থিরতা এবং সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। একটি পরিষ্কার মন এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাহুলে শুভ করে তোলে। রাহুর প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সম্পন্ন কাজগুলি স্লথ হয়ে যায়। যার ফলে ক্রমাগত ব্যর্থতা দেখা দেয়।
মদ্যপান ও দারিদ্রের হয়রানি (শনি দোষ)
শনি হল কর্ম, শৃঙ্খলা এবং ন্যায়ের গ্রহ। অতিরিক্ত মদ্যপান, খারাপ সঙ্গ অথবা দারিদ্রের অপমান শনিকে ক্রোধান্বিত করে। এর ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা, আদালতের মামলা, আর্থিক সঙ্কট এবং জীবনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। দারিদ্রের সাহায্য করা এবং সৎ থাকা শনিকে শক্তিশালী করে।
নখ কামড়ানোর অভ্যাস (রাহু এবং শনির দোষ)
এই অভ্যাসটি কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই খারাপ নয়, বরং রাহু এবং শনি উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। এটি উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং অজানা ভয় বাড়ায়।
শিক্ষকদের অপমান করা (গুরু দোষ)
গুরু হলেন জ্ঞান, শ্রদ্ধা এবং ভাগ্যের কারক। গুরুজন, শিক্ষক বা গুরুদের অসম্মান করলে গুরু দোষ তৈরি হয়। এর ফলে পড়াশোনায় বাধা, কর্মজীবনের অগ্রগতি ধীর হয় এবং ভাগ্য সঙ্গ দেয় না।
পশুদের হয়রানি (কেতু দোষ)
কেতু আধ্যাত্মিকতা এবং গুণাবলীর প্রতিনিধিত্ব করে। অপ্রয়োজনীয় ভাবে পশুদের হয়রানি করলে কেতু দোষ হয় যা মানসিক চাপ, আকস্মিক ক্ষতি এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে।