
Vastu Tips for Bedroom: স্বামী-স্ত্রীর জীবনে বেডরুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে ঘুমতে যাওয়া থেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠা পর্যন্ত, শোবার ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা যেমন বাড়তে পারে, তেমনি দূরত্বও বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, যেকোনও ধরণের প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতে, বাস্তু অনুসারে বলা এই বিষয়গুলি মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ছোট ছোট জিনিসগুলিও স্বামী-স্ত্রীর জীবনে বড় ভূমিকা পালন করে, যেমন ঘরে রাখা প্রতিটি ছোট এবং সাধারণ জিনিস বিবাহিত জীবনে প্রভাব ফেলে। যদি কোনও নেতিবাচক জিনিস শোবার ঘরে রাখা হয়, তবে তা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে খুব দ্রুত প্রভাবিত করে। স্বামী-স্ত্রীর জীবনকে সুখী এবং ভালোবাসায় পূর্ণ করার জন্য বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম মেনে চলা উচিত। বাস্তু, ফেং শুইয়ের এই ছোট ছোট জিনিসগুলি গ্রহণ করলে বিবাহিত জীবনে সুখ বৃদ্ধি পায়।
শোবার ঘরে এমন অনেক জিনিস থাকতে পারে যা স্বামী-স্ত্রীর সুখের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে ভুল দিকে রাখা আয়নাও রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘুমনোর সময় আয়নায় স্বামী-স্ত্রীর প্রতিবিম্ব দেখা তাদের জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আয়নার নেতিবাচক প্রভাব উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। যখন বাস্তুর সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রও খারাপ থাকে, তখন গ্রহ-দ্বন্দ্ব এবং উত্তেজনার কারণে স্বামী-স্ত্রী ঘরের বাইরে শান্তি খুঁজতে শুরু করে এবং এমন পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্য কারও আসার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, আয়না যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি না করে, সেজন্য এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা প্রয়োজন। যদি শোবার ঘরে আয়না থাকে, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর উচিত রাতে ঘুমনোর সময় এটি ঢেকে রাখা, তার উপর পর্দা দেওয়া। শোবার ঘরে কোথাও কোনও অস্পষ্ট, জীর্ণ বা ভাঙা আয়না থাকা উচিত নয়, এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল তৈরি করে।
আয়না ছাড়াও, আলমারি রাখার জায়গা, ঘুমনোর দিক, গ্রহের দশা অনুসারে রঙের পর্দা এবং বিছানার চাদর ব্যবহার, এই সমস্ত বিষয়গুলিও মাথায় রাখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি শনি বা রাহু স্বামী বা স্ত্রীর কারও জন্য প্রতিকূল অবস্থানে থাকে, তাহলে শোবার ঘরে নীল রঙের বিছানার চাদর এবং পর্দার প্রতিকূল প্রভাব পড়ে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)