Vastu Tips For Sleep: রাতে ঘুমোনোর সময় মাথা-পায়ের দিক কোন দিকে থাকবে? এই প্রশ্নে অনেকেই গা করেন না। কেউ আবার সরাসরি বলেই দেন, “এসব কুসংস্কার!” কিন্তু জানেন কি, বাস্তুশাস্ত্র এবং আধুনিক মনোবিজ্ঞান, দু'দিক থেকেই এর রয়েছে ব্যাখ্যা?
বাড়ির দরজার দিকে পা করে শোওয়াকে অনেকেই মনে করেন অশুভ। শুধু ভারতেই নয়, এই বিশ্বাস রয়েছে পাশ্চাত্য দেশগুলিতেও। অথচ, বহু মানুষই জানেন না, দরজার দিকে পা রেখে ঘুমোনো শরীর-মন দুইয়ের উপরই ফেলতে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
দরজা শুধু যাতায়াতের পথ নয়, শক্তির প্রবাহও বটে
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির মূল দরজাই হল শক্তি আসা-যাওয়ার কেন্দ্র। এই দরজা দিয়েই ঘরে প্রবেশ করে শুভ শক্তি। একইসঙ্গে, এখান দিয়েই চলে যায় নেতিবাচক শক্তিও। তাই ঘুমের সময় পা যদি সরাসরি দরজার দিকে থাকে, তবে সেই শক্তির ধাক্কা সোজাসুজি এসে পড়ে শরীর-মন দু’য়ের উপর।
ধর্মীয় বিশ্বাসেও রয়েছে প্রতিফলন
হিন্দু রীতিতে, ঘরের প্রবেশপথকে মনে করা হয় দেবতাদের পথ। অনেকের মতে, দরজার দিকে পা রাখা মানে, সেই পথকে বা দেবতাদেরই অপমান করা। তাই বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘুমের সময় পা দরজার দিকে রাখা নিষেধ।
বিজ্ঞান কী বলছে?
এটা শুধু ধর্ম বা ঐতিহ্য নয়। স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। দরজার পাশে চলাচল, আলো-বাতাসের প্রবাহ, সবই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। দরজার দিকে মুখ করে ঘুমালে অনেক সময় মন পুরোপুরি শান্ত হতে চায় না। গভীর ঘুমে বিঘ্ন ঘটে।
‘কফিন পজিশন’
এই বিশ্বাস শুধু ভারতীয় নয়। পাশ্চাত্য দেশগুলিতেও একে বলা হয় ‘কফিন পজিশন’। কারণ মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময় পা রাখা হত দরজার দিকে। সেই স্মৃতি থেকেই জন্ম নিয়েছে এই ধারণা, দরজার দিকে পা মানেই অশুভ কিছু ঘটতে চলেছে।
এমন হলে কী করবেন? আছে সহজ সমাধান
যদি আপনার ঘরের অবস্থা এমন হয়, যেখানে দরজার দিকেই পা রাখতে হয়, তবে কি উপায় নেই? বাস্তুশাস্ত্র বলে, আছে সহজ সমাধান। বিছানা আর দরজার মাঝে একটা পর্দা বা কোনও কাঠের পার্টিশন দিন। দরজা বন্ধ রেখে ঘুমোনোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সতর্ক থাকাই শ্রেয়
ঘুম শুধুই বিশ্রাম নয়, শরীর-মন, দু’য়ের পুনর্গঠনের সময়। তাই এমন কোনও কিছুর প্রভাব যদি ঘুমের গুণমান নষ্ট করে, সেটা নিয়ে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। দরজার দিক দেখে ঘুমনো হয়তো ছোট বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু অভ্যাসে আনলে মিলতে পারে শান্তির ঘুম।