Vastu Tips For Good Luck: অশান্তি, অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চান? তাহলে বাস্তুশাস্ত্র মেনে কিছু পরামর্শ অবলম্বন করতে হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এমন কিছু জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসুন যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় এবং এর ফলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং নেতিবাচকতার পরিবর্তে ইতিবাচকতা আসে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়িতে এই ৬টি জিনিস এনে সঠিক জায়গায় রাখতে পারলে অর্থকষ্ট, অশান্তির মতো সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একইসঙ্গে সারা বছর সুখ-সমৃদ্ধি, অর্থর কোনও অভাব হয় না। চলুন এগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
ময়ুরের পালক: এই পালক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুবই প্রিয়। বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে মা লক্ষ্মী সর্বদা সেখানে বাস করেন। আপনি যদি আপনার নতুন বছরে আপনার জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি-অর্থ চান, তাহলে ঘরে ময়ূরের পালক এনে রাখুন।
তুলসী গাছ: সনাতন ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে, সেই বাড়িতে অর্থ ও শস্যে ভরপুর থাকে। যদি আপনার বাড়িতে তুলসি গাছ না থাকে বা শুকিয়ে যায়, তাহলে ঘরে তুলসি গাছ নিয়ে আসুন আর যথাস্থানে রোপন করুন।
রুপোলী হাতি: ঘরে একটি রুপোর হাতি নিয়ে এসে রাখুন। বাস্তু মতে, রুপোলী হাতির একটি অলৌকিক প্রভাব রয়েছে। ঘরে একটি রুপোর হাতি রাখতে পারলে রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব কমে আসে এবং ব্যবসা ও চাকরিতে উন্নতি হয়।
ধাতব কচ্ছপ: আপনার বাড়িতে একটি ধাতব কচ্ছপ নিয়ে আসুন। ঘরে রুপো, পিতল বা ব্রোঞ্জের তৈরি কচ্ছপ রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়। ধাতব কচ্ছপ উত্তর দিকে রাখলে নেতিবাচক শক্তি শেষ হয় এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।
লাফিং বুদ্ধ: বছরের কোনও শুভ দিন দেখে বাড়িতে লাফিং বুদ্ধ আনতে পারেন। লাফিং বুদ্ধ এনে সেটিকে সবসময় বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন। লাফিং বুদ্ধ বাড়িতে রাখলে কখনওই টাকার অভাব হবে না।
ছোট নারকেল: আপনি ছোট ছোট নারকেল বাড়িতে নিয়ে আসুন এবং একটি কাপড়ে মুড়িয়ে সেটিকে নিরাপদ স্থানে রাখুন এবং তারপর দীপাবলির দ্বিতীয় দিনে সেটিকে বের করে নিয়ে কাছের কোনও নদী বা পুকুরে ডুবিয়ে দিন। এটি করলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।