সাফল্য ও ব্যর্থতা জীবনে আসতে থাকে। তবে নিয়মিত ব্যর্থ হলে অনেকেই বলেন কপালের ফের। ভাগ্যের সঙ্গ না পাওয়াটা বাস্তু দোষের কারণেও হতে পারে। আসলে মানুষের ভুলের জন্য বাড়িতে প্রাধান্য় বাড়ে নেতিবাচক শক্তির। যে কারণে বাড়ির সদস্যরা নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হন। কোনও কারণ ছাড়াই ঘরে কলহ শুরু হয়। বেশিরভাগ সময় মানুষ ঘরের নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। ঘরে নেতিবাচক শক্তি থাকলে কাজে আসে বাধাবিঘ্ন। তাই ঠিক সময় এ ব্যাপারে সজাগ হওয়া দরকার।
ঘরে নেতিবাচক শক্তি সনাক্ত করবেন যেভাবে
- গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের ঘনঘন ভেঙে গেলে।
- বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র খালি বিকল হওয়া।
- দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও সুস্থ হচ্ছেন না পরিবারের কোনও সদস্য।
- কোনো কারণ ছাড়াই কোনও বিষয় নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন হওয়া। হতাশা গ্রাস করে।
- হঠাৎ কোনও হওয়া কাজ আটকে যাওয়া।
- ভাল সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া হওয়া।
- পরিবারের সদস্যরা সব সময় অলস এবং ক্লান্ত বোধ করে।
- বারবার মনের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে।
-জীবনকে শেষ করার চিন্তাও আসতে পারে।
আরও পড়ুন- শিবের এই ধরনের ছবি রাখলে অশান্তি-দুর্ভাগ্য, জানুন ভোলেনাথ রাখার নিয়ম
নেতিবাচক শক্তি কীভাবে দূর করবেন?
বাস্তু শাস্ত্রে এমন কিছু বাস্তু প্রতিকার রয়েছে যার মাধ্যমে ঘরে থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- নেতিবাচক শক্তি দূর করতে বাড়ির প্রবেশদ্বার সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ এই ধরনের শক্তি বাড়ির প্রবেশদ্বার এবং জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এই স্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখলেই ঘরে ইতিবাচক শক্তি ঢুকবে।
- জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দরজার ও জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
- প্রতিদিন ঘর পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত জলে নুন মিশিয়ে মুছলে ভাল ফল পাবেন।
-বাড়ির বাস্তু দোষ কাটাতে তিনটি লাল লঙ্কা, সর্ষে এবং নুন নিয়ে মাথার উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিন।
- রান্নাঘরে একটি লাল কাপড়ে নুন বেঁধে রাখুন। এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাইরের লোকের দেখতে পায়।
- এর পাশাপাশি বাড়িতে এমন কিছু গাছ লাগান যা বাড়ির ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে।