তুলসী গাছ শুকিয়ে যাওয়া অশুভ লক্ষণ। তুলসী শুকিয়ে যাওয়ার অর্থ বাড়িতে নেতিবাচর শক্তি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অমঙ্গল ঘটতে পারে। তাই তুলসী গাছের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর তাই শুধু জল নয়, তুলসী গাছে সারও দিতে হবে সময়ে সময়ে। কিন্তু কী সার দেবেন? অনেকেই ভাবেন বাজার থেকে কিনে এনে সার দিলেই তো হয়। সেটা করবেন না। কারণ তুলসীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন স্বয়ং বিষ্ণু ও লক্ষ্মী।
প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করলে তুলসী গাছ পাতাবাহার থাকে। সেই সঙ্গে পোকামাকড়ও আসে না গাছে। সবার প্রথমে যেটা করা দরকার, তুলসী গাছের আশেপাশে আগাছা জন্মালে সরিয়ে দিন। তুলসী পাত্র পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন রাখুন। কারণ তুলসীতে বাস করেন লক্ষ্মী। আর তুলসী গাছে সর্ষের খোল সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি প্রাকৃতিক সার। তবে এই সার ব্যবহার করার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
কীভাবে বানাবেন সর্ষে খোলের সার?
- সরাসরি সর্ষের খোল গাছে দেবেন না। আগে মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
- সর্ষের খোল একটি মাটির পাত্রে ভিজাতে দিন। ৩ দিন ওই পাত্রের জলে সেটা রেখে দিন। সার তৈরি হয়ে যাবে।
- তার পর ১৫ দিন টানা এই সার ব্যবহার করতে পারবেন।
- মাটির পাত্রে ১ লিটার জলে সর্ষে খোলের গুঁড়ো দিন। সেখানেই ১৫ দিন রাখতে পারবেন। প্রতিদিন খালি একটা লাঠি দিয়ে নেড়ে দিন।
সার কীভাবে ব্যবহার?
- উপরের ফেনা সরালে পাত্রে দেখতে পারবেন জলীয় দ্রবণ।
- প্রচণ্ড কটূ গন্ধ। সেটা সহ্য করতে হবে। তাই এই সার বাড়ির বাইরে তৈরি করুন। আর যদি ভিতরে রাখেন তবে ব্যালকনিতে রেখে দিন।
- পাত্র থেকে সর্ষের সার নেওয়ার আগে ছেঁকে নিন। সুতির কাপড়ে ছাঁকতে পারেন। পচনশীল খোল যেন না থাকে তাতে। ফলে দু-পাল্টা কাপড়ে ছাঁকুন।
- সর্ষের ভেজানো জল অন্য পাত্রে ছেঁকে নেওয়ার পর দেখবেন থকথকে সার রয়েছে। তাতে জল মিশিয়ে তুলসী গাছে দিন। এই সার ফুলের গাছেও ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন- রাখীতে রাশি অনুযায়ী দিদি বা বোনকে দিন এই সব উপহার, ভাগ্য়োদয় নিশ্চিত