বাস্তু টিপস হিন্দু ধর্মের বাস্তু শাস্ত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ বলে মনে করা হয়, যেখানে বাড়ি, অফিস, রান্নাঘর ইত্যাদি সম্পর্কিত নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তু শাস্ত্রে ঠাকুরঘর স্থান বা মন্দির সম্পর্কিত নিয়মগুলিও বলা হয়েছে। ঠাকুরঘরে ঈশ্বরের মূর্তি বা ছবি রাখা খুবই সাধারণ। তবে, বাস্তু শাস্ত্রে ঈশ্বরের মূর্তি স্থাপন এবং তাদের সঠিক উচ্চতা সম্পর্কে বলা নিয়ম অনুসারে, এগুলো মানলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে। জেনে নিন, বাস্তু অনুসারে দেব-দেবীর মূর্তির সঠিক উচ্চতা কত হওয়া উচিত।
বাস্তু শাস্ত্রে মূর্তির উচ্চতা
ছোট মূর্তি - যদি বাড়ির মন্দির ছোট হয়, তাহলে ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি মূর্তি স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই ছোট মূর্তিগুলি সীমিত স্থানেও ইতিবাচক শক্তি এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে।
মাঝারি আকারের মূর্তি - যদি বাড়ির মন্দির বড় হয়, তাহলে ১২ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপন করা ভাল। এই ধরনের মূর্তি পূজার স্থানকে আরও সমৃদ্ধ করে, শ্রদ্ধা ও ভক্তির অনুভূতিকে আরও গভীর করে।
বড় মূর্তি - আপনার বাড়ির মন্দির বা প্রার্থনা কক্ষে ২৪ ইঞ্চির চেয়ে লম্বা মূর্তি স্থাপন করা অশুভ বলে বিবেচিত হয়। যদি আপনাকে বড় মূর্তি স্থাপন করতেই হয়, তাহলে সেগুলি একটি বড় মন্দির বা জনসাধারণের উপাসনালয়ে স্থাপন করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
শিবলিঙ্গের আকার - অনেকেই তাদের বাড়ির মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে পছন্দ করেন। বাড়িতে স্থাপিত শিবলিঙ্গটি যেন একটি বৃদ্ধাঙ্গুলের আকারের চেয়ে বড় না হয় তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস অনুসারে, একটি বড় শিবলিঙ্গ বাড়ির জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ এটি অত্যন্ত শক্তিসম্পন্ন। বাড়ির মন্দিরে শুধুমাত্র একটি ছোট শিবলিঙ্গ স্থাপন করার প্রথা রয়েছে।
প্রতিমা স্থাপনের নিয়ম
* বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঈশ্বরের মূর্তি ঠাকুরঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত। উত্তর-পূর্ব দিকটি ঈশান কোণ (উত্তর-পূর্ব কোণ) নামেও পরিচিত এবং এটি দেব-দেবীর দিক হিসাবে বিবেচিত হয়।
* এছাড়াও, ভাঙা মূর্তি বা খণ্ডিত মূর্তি কখনও বাড়ির ঠাকুরঘরে স্থাপন করা উচিত নয় এবং যদি সেখানে রাখা মূর্তিগুলি ভেঙে যায়, তবে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা উচিত।
* প্রার্থনা কক্ষে ঈশ্বরের সমস্ত মূর্তি বসার অবস্থানে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, সেগুলিকে দেয়াল থেকে দূরে রাখুন।
ঠাকুরঘর সম্পর্কিত বিশেষ নিয়ম
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঠাকুরঘরে সর্বদা পরিষ্কার এবং অগোছালো থাকা উচিত নয়। নয়তো প্রতিমা স্থাপনের সময় বা পরে, দেবতা অসন্তুষ্ট হতে পারেন। পুজোর সময় প্রদীপ বা ধূপ জ্বালানো উচিত। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে মূর্তি পরিষ্কার করা উচিত।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)